সিলেট ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
৭৭৭ দিন কারামুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে মুক্ত হন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তবে মুক্তি মিললেও খড়্গ ঝুলছে তার মাথায়। যে শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ভাঙলেই মুক্তি বাতিল হয়ে যাবে তার।আজ বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যে শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার সেই শর্ত ভঙ্গ করলে তা বাতিল হয়ে যাবে।’ সরকার চাইলে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম।পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খালেদাকে মুক্তির ঘোষণা দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বুধবার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা-১-এ বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে, এই সময় দেশের বাইরে গমন না করার শর্তে মুক্তি দেওয়া জন্য আমি মতামত দিয়েছি।
এদিকে ৭৭৭ দিন পর মুক্তি পাওয়ার পর বিএসএমএমইউ থেকে খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাসায় নিয়ে যান ছোটভাই শামীম ও সাইদ ইসকন্দার। এর আগে তার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে মুক্তির আদেশের নথি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের হাত ঘুরে বিকেল ৩টার পর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পৌঁছায়। পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয় খালেদা জিয়াকে।
আজ দুপুরে খালেদা জিয়াকে আনতে বিএসএমএমইউতে যান তার পরিবারের সদস্য এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। তাকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ কারাগার স্থাপন করে সেখানে রাখা হয়। গত বছরের এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।