খান ইউনুস থেকে সেনা সরানোর দাবি কৌশল, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নয়

প্রকাশিত: ১:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৪

খান ইউনুস থেকে সেনা সরানোর দাবি কৌশল, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নয়

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সপ্তম মাসে পড়ার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে তেল আবিব।তবে ইসরায়েলের সেনা সরানোর এই বিষয়টিকে কৌশলগত হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে। এটি যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নয় বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

 

 

 

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) লেফটেনেন্ট জেনারেল হার্জি হাভেলি গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘সেনা সরিয়ে নেওয়া মানে অভিযান বন্ধ এমনটি বলা যাবে না। গাজা উপত্যকায় হামাসের কোনো যোদ্ধাকে আমরা সক্রিয় থাকতে দেব না। আমরা পরিকল্পনা মোতাবেক এগোচ্ছি।

 

 

 

এ সময় গাজায় ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্য পুরোপুরি সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন হার্জি হাভেলি।

 

 

 

আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

 

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা থেকে এক ব্রিগেড সেনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক সেনা গাজায় থেকে যাবে।

 

 

 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তাদের সংবাদদাতা সীমান্ত এলাকা থেকে দূরে গাজার ভেতর থেকে বিপুল সংখ্যাক ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখেননি। তবে রাতে খান ইউনুস থেকে অনেক ট্যাঙ্ক সরে যেতে দেখা গেছে। সেসব ট্যাঙ্ক গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে এনে রাখা হয়েছে।

 

 

 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাদের শারীরিক ক্লান্তি ও অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধার করতে এবং ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য প্রস্তুত করতেই সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। তবে দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও রাফাহ নগরীতে অভিযান চালানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর দেশটি।

 

 

 

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানান, রাফাহে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে ভাবছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

 

 

 

অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ‘এমনটিও হতে পারে যে এটি নতুন অভিযানের প্রস্তুতি। এই সেনারা গত চার মাস থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছেন। বলা হচ্ছে তারা ক্লান্ত। তাদের বিশ্রাম প্রয়োজন।

 

 

 

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনা চলমান থাকায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে প্রধান মিত্র বাইডেন প্রশাসন।

 

 

 

 

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

 

 

 

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

Spread the love