সিলেট ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
রোহিঙ্গা গণহত্যা চালানোর সাত বছর পর আবার তাদেরই সাহায্য চাইছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, অন্তত ১০০ জন রোহিঙ্গাকে জান্তা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সশস্ত্র বিদ্রোহীদের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন বছরের ক্ষমতায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে তারা। গত অক্টোবরে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে।
এমন অবস্থায় রোহিঙ্গাদের সাহায্য চাইছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। মোহাম্মদ নামে ৩১ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা বিবিসিকে জানায়, তিনি ভীত ছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর ডাকে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় একজন ক্যাম্প কর্মকর্তা গভীর রাতে এসে তাকে জানায়, যে সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হবে তার। এটি সেনাবাহিনীর নির্দেশ। অমান্য করলে তার পরিবারের ক্ষতি হতে পারে।
বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি। তারা জানায়, একাধিক ক্যাম্পে গিয়ে যুবকদের সঙ্গে কথা বলে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
তবে এখনো মোহাম্মেদের মতো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়নি মিয়ানমার। নিজেদের এলাকার বাইরে যেতে পারেন না তারা। বছরের পর বছর ধরে নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছেন তারা। ২০১৭ সালে দীর্ঘদিন ধরে চলা সামরিক অভিযান জোরাল করার পর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে।
বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার চলছে। সেই হত্যাযজ্ঞ চালানো সেনাবাহিনীই এখন রোহিঙ্গাদের সাহায্য চাইছে। তবে রোহিঙ্গাদের আশঙ্কা তারা দুইপক্ষের যুদ্ধের বলি হতে পারে।
মোহাম্মাদকে দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ২ দিন পর আবার তাকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন আমি যুদ্ধ করছি। কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’