সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালী জাতির উপর বর্বর হামলা এবং হত্যাযজ্ঞ স্মরণে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ গভীর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে “গণহত্যা দিবস” পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীগুলো পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ এবং মিনিস্টার (প্রেস) শামিম আহমদ। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৫শে মার্চ রাতে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর নির্বিচারে গুলীবর্ষন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এই হত্যাযজ্ঞ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল “অপারেশন সার্চলাইট”। তিনি এই হত্যাকান্ড মানব ইতিহাসে ও নিকৃষ্টতম হত্যাযজ্ঞ হিসেবে বর্ণনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “অপারেশন সার্চলাইট” চলাকালীন পাকিস্তানী সেনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডীর বাসভবন ঘেড়াও করে। পাক সেনারা বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রবেশের পূর্বমুহূর্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর এক লিখিত বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বাঙালি জাতিকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।অনুষ্ঠান শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। প্রথম সচিব এবং চ্যান্সারী প্রধান মো: মাহমুদুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি