সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
করোনার বিস্তার রোধে ভারতে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কলকাতায় দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। লকডাউনের সময় সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দুই শ্রমিক এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আত্মঘাতী ওই দুই শ্রমিক হলেন সুজয় ঘোষ (৪৪) ও অনুকূল রায় (৪২)।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, আত্মঘাতী ওই দুই ব্যক্তি ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন।
বিএসএনএলের ঠিকা বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠন কনট্রাক্টরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন অব বিএসএনএলের এক নেতা বলেন, ‘অনটন এবং এই লকডাউনের সময় অনিশ্চয়তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই দুই কর্মী।’
গত মঙ্গলবার নৈহাটির গরিফায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন সুজয় ঘোষ। তিনি সন্তোষপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জে কাজ করতেন। এ ছাড়া বারাসত হৃদয়পুরের বাসিন্দা অনুকূল রায় গত বুধবার আত্মহত্যা করেছেন।
সুজয়ের আত্মীয় অপূর্ব ঘোষ বিএসএনএলের ঠিকাকর্মী। তিনি বলেন, ‘গত ১৩ মাস ধরে সুজয়, আমি– সবাই অন্যদের মতোই রোজ অফিসে যাচ্ছি। পার্থক্য একটাই– অন্যরা মাসের শেষে বেতন পান, আমরা পাই না।’
অপূর্ব জানান, সুজয়ের দুই সন্তান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন বৃদ্ধা মা। পরিবারের একমাত্র উপাজর্নকারী ছিলেন তিনি। একদিকে বেতন পাচ্ছিলেন না। তার ওপর লকডাউন ঘোষণার পর সংসার চলবে কীভাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তার দাবি, এসব কারণেই সুজয় আত্মহত্যা করেছেন।
বিএসএনএলের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠনের যৌথ ফোরামের নেতা অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রায় ৫ হাজার মানুষ বেতন পাচ্ছেন না। তারা কিন্তু প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করছেন।
এই কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি বিএসএনএল কর্মীদের। তবে এই দুজনের আত্মহত্যার কারণ কী তা এখনও জানাতে পারেনি কলকাতার পুলিশ।