সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০
ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
জীবিকার টানে গাজীপুরে থাকেন বগুড়ার শিবগঞ্জের এক ব্যক্তি। বাড়িতে এসে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য তার স্ত্রী রাতভর আকুতি করে কাউকেই পাননি।
এমনকি অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল থেকে আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন করেও কাউকে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী।তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে তার স্বামীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পাড়া–প্রতিবেশীদের সহযোগিতা চান। তার স্বামী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, এমন সন্দেহে তারা কেউ এগিয়ে আসেননি। এরপর তিনি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কেউ তার যাকে সাড়া দেননি।
সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ, তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনে ফোন দিলেও কাউকে পাননি। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের হটলাইনে ফোন করেও তিনি সাড়া পাননি।
আজ শনিবার হটলাইনে বিষয়টি জানার পর ওই ব্যক্তির চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন। তিনি বিষয়টি বগুড়ার সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীকে জানান। পরে সিভিল সার্জন একজন চিকিৎসককে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পাঠান।শফিক আমিন বলেন, ‘হাসপাতালের হটলাইনে ফোন করা নারীর বর্ণনা শুনে মনে হলো, মানবতার কাছে আমরা হেরে গেছি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হোক বা না হোক, একজন নাগরিক হিসেবে তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা কেউ তার পাশে দাঁড়াতে পারিনি। আমি নিজেও সকাল থেকে আইইডিসিআরের হটলাইনে অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শেষে সিভিল সার্জন ও পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, ‘ওই ব্যক্তির বাড়িতে একজনকে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখনো কিছু জানাননি।’শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ বলেননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’