সিলেট ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাস সংকটে প্রথমবারের মতো সরকার পতন হলো ইউরোপের দেশ কসোভোয়। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তির বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে শরিক দল এলডিকের একজন সদস্যের উত্থাপিত অনাস্থা ভোটে এই ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকদিন ধরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্তের জের ধরে জোটের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল।
শরিক দল এলডিকের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি জোটের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (এলডিকে দলের নেতা) বরখাস্ত করে চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। এই অজুহাতে দলটি এই ভোট প্রস্তাব নিয়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা নিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টার তুমুল বিতর্কের পর বুধবার সন্ধ্যায় ভোটাভুটি হয়। এতে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দেন ১২০ জন এমপির মধ্যে ৮২ জন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শপথগ্রহণের মাত্র দুই মাসের মাথায় সরকারের পতন হলো। আর এর ফলে করোনাভাইরাসের মতো বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পতনের কারণে দেশটিতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে। করোনাভাইরাসের কারণে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে।
তবে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন করে সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আলবিন কুর্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কসোভা স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭০ জন করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ৮২ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, কসোভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচি। এই পদক্ষেপকে প্রকাশ্যেই সমর্থন দিয়েছিলেন ওই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে তার ওপর ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী কুর্তি।ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার কারণেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম দেশ, বলকান অঞ্চলের রাষ্ট্র কসোভা। দেশটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করেন। কসোভো আগে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিলো। প্রদেশটি ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে।