সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২০
কামরুল হাসান নোমান/জুড়ীঃঃ
ফাতেমা (ছদ্মনাম) গ্রামের মানুষের বাড়ীতে বাড়ীতে কাজ করেন। স্বামী অটোরিকশা চালান । কয়েক দিন ধরে সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের বাড়ীতে কাজে আসতে তাকেও বারন করা হয়েছে। ছোট ছোট দুই ছেলে, দুই মেয়ে আর স্বামী নিয়ে তাঁর সংসার। কয়েকদিন ধরে কষ্ট করে চলছিলেন স্বামীর রিকশা চালানোর আয় দিয়ে।
কিন্ তুবর্তমানে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের জন্য তিনিও রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বেরহতে পারছেন না। ঘরের উনুনে আগুন ধরানোর মত কিছু নেই। স্বামীর কাছে জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের খাবার দেয়া হচ্ছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠো ফোনের নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে খাবারের জন্য সাহায্য চান। ইউএনও মহিলার নাম, ঠিকানা লিখে রাখেন। রাতে ফাতেমা ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ বাড়ীর উঠোনে তাঁরনাম ধরে ডাক শুনতেপান । তিনি ও তাঁর স্বামী বের হয়ে দেখেন ইউএনও তাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন। ঘটনাটি মৌলভীবাজারেরজুড়ী উপজেলায় ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঐ মহিলা খাবারের জন্য ইউএনওকে ফোন দেন । রাতেই মহিলার বাড়িতে খাবার সামগ্রী নিয়ে হাজির হন জুড়ী উপজেলা নির্বাহি অফিসার অসিম চন্দ্র বণিক। এরপর একে একে রাতের আধারে বিভিন্ন গ্রামের ৪৪টি পরিবারে খাদ্য সামগ্রী নিজ হাতে পৌছে দেন। ইউএনও অসিম চন্দ্র বণিক সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বানজানিয়ে বলেন, যাদের ঘরে খাবার নেই তাদের খাবার দেওয়া হবে।