সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২০
কামরুল হাসান নোমান, জুড়ীঃঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নির্ধারিত বাজারে না বসে রাস্তার ও ফুটপাত দখল করেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলে ব্যবসা করছিলেন। যার ফলে শহরে লেগে থাকত দীর্ঘ যানজট। হাজারো শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা দূর্ভোগে পড়ত। করোনার এই ভয়াল সময়েও এখানকার জনসমাগম কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছিল না। সরকারি নির্দেশনা মতে, সব ধরণের কাঁচাবাজার খোলা মাঠে নেওয়ার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক।
অবশেষে গতকাল বুধবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসিম চন্দ্র বনিক এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। ব্যবসায়ীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে করণীয় বিষয়ে বুঝানো হয়। পরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা রাস্তার দু’পাশ থেকে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে কাঁচাবাজারের জন্য সরকার নির্ধারিত কামিনীগঞ্জ লামাবাজারের খোলা স্থানে বসানো হয়। এসময় জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান ও কামিনীগঞ্জবাজার ইজারাদার মাছুম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে কামিনীগঞ্জবাজার ঘুরে দেখা যায়, জুড়ীর এক সময়কার একমাত্র বাজারটি আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কেনাবেচা করছেন। আগের মত রাস্তার দু’পাশে এখন আর জটলা নেই, নেই কোন যানজট। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিজেরা এখন করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি ছাড়াই ব্যবসা করতে পারছেন। প্রশাসনের এরকম উদ্দ্যোগে তারা খুশি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, জুড়ী বাজারে যা অবিশ্বাস্য ছিল তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে জুড়ীর সবচেয়ে প্রাচীণ এই বাজারে ব্যবসায়ীরা না বসে অবৈধভাবে রাস্তার উপর ও ফুটপাতে বসতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজারটি নতুন রুপে প্রতিষ্ঠিত হলো। কাঁচামাল ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বাজারে আমরা বিনিয়োগ করবো। তাদের কথা চিন্তা করে হাটবাজার তহবিল থেকে খুব শীঘ্রই টিনসেডের ঘর করে দেয়া হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।