সিলেট ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২০
কামরুল হাসান নোমান, জুড়ীঃঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে নিরানন্দের হাসি বিরাজমান। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে রয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জুড়ীতে এবছর ৫৫৩৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে, যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি।
সরেজমিন উপজেলার হাকালুকি হাওর পরিদর্শনে দেখা যায়, কৃষকরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন। বেলাগাও গ্রামের কামরুজ্জামান কামরুল, জায়ফরনগর গ্রামের আব্দুস শহিদ, প্রহল্লাদপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত সেচের অভাবে উঁচু এলাকায় ফলন কম হলেও নিন্মঞ্চলে ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা ভোগছেন শ্রমিক সংকটে।
করোনা ভাইরাসের কারণে এলাকার লোকজন গৃহবন্দি হয়ে আছেন। প্রতি বছর বাহিরের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য শ্রমিক ধান কাটার জন্য জুড়ীতে আসতেন। এবার তারা আসতে পারছেন না। ৬-৮শ টাকা মজুরী দিয়েও শ্রমিক মিলছেনা। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান তুলা নিয়ে কৃষকরা এখনও হতাশার মধ্যে রয়েছেন। এখনও অনেক ধান পাকেনি। সোনালী ধান কৃষকের মুখে হাসি ফুটালেও হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে ক্ষতির আশংকায় ভোগছেন কৃষকরা।
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, “জুড়ীতে ৪টি কমবাইন্ড হারভেস্টার ও ১০টি রিপার রয়েছে। ৮০ভাগ ধান পাকা হলে কেটে ফেলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন গত বছরের চেয়ে ভাল হবে। এবার ৩২৮৬৬ মে. টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে”।