বুলবুল আহমদ/ নবীগঞ্জঃঃ
মহামারি করোনা ভাইরাসের কোন সচেতনতা বা মানুষের মধ্যে করোনার কোন আতংক নেই! হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর ও গালিমপুর এলাকা। করোনা ভাইরাসে যখন গোটা বিশ্ব স্তব্ধ তখন মাধবপুর- গালিমপুর বাজারে চলছে রমরমা ব্যবসা। ওই এলাকায় মানুষের আনাগোনা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতো। প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে প্রশাসনের নির্দেশনা হয়তোবা কার্যকরী মনে করছেন না মাধবপুর-গালিমপুর জনপদের জন-সাধারণ।
সম্প্রতি মাধবপুর-গালিমপুর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ফিরে এসেছেন। এর ফলে দেখা দিয়েছে আতংক উৎকণ্ঠা। যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারণে প্রশাসনিক টহল পৌঁছায়নি ঐ এলাকায়। করা হয়নি সচেতনা মূলক মাইকিং বা প্রচার প্রচারনা। এর ফলে নিয়ম- নীতির কোন তোয়াক্কা না করে প্রতিনিহতই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতো মানুষ চলাফেরা করছেন।
জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার শেষ সীমান্ত হিসেবে পরিচিত মাধবপুর ও গালিমপুর এলাকা। আবার মাধবপুর-গালিমপুরের এক অংশ সিলেট বিভাগের ওসমানী নগর উপজেলায় অবস্থিত। প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে ওই এলাকায় সরকারে উন্নয়নের ছোঁয়া এখনও লাগেনি। এখানে নেই ইট সলিং বা পাকা সড়ক! ওই এলাকার লোকজন ধুলোবালিতে একাকার হয়ে মাটির রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছেন।
যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রশাসন মাধবপুর-গালিমপুর যেতে অপারগতা প্রকাশ করে বিভিন্ন সময়। দেশে করোনা ভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে তখন নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর-গালিমপুর এলাকায় মানা হচ্ছেনা সরকারের কোনো নির্দেশনা। প্রতিনিয়তই মাধবপুর-গালিমপুর বাজারে ব্যপক হারে চলাফেরা করছে মানুষ। নেই কোনো মাস্ক, নেই গ্লাভসের ব্যবহার । হ্যান্ড স্যানেটাইজার কী হয়তো বা অনেকেই জানেন না। এ যেন বাংলাদেশের বুকে এক অচেনা দ্বীপ।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ভাষ্য, বার বার করোনা ভাইরাসের মধ্যে ব্যক্তিগত ভাবে সচেতন হওয়ার আহবান জানানোর পরও কেউই সাড়া দিচ্ছেন না। প্রশাসনের আনাগোনা না থাকায় এলাকায় মানা হচ্ছেনা সরকারি কোনো নির্দেশনা।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেখানে যাওয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। আমরা বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখতেছি।