সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০
বুলবুল আহমদ/ হবিগঞ্জঃঃ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল ও মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল। গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার বিরুদ্ধে গত ১৯ এপ্রিল ভিজিডির চাল ও মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সমরগাও গ্রামের শরিয়ত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। এর পর তড়িগড়ি করে চেয়ারম্যান মুসা পরদিন ২০ এপ্রিল খাদ্য গুদাম থেকে এপ্রিল মাসের চাল উত্তোলন করে মার্চ মাসের চাল হিসেবে বিতরন করেন।
এ ব্যাপারে খাদ্য গুদাম সুত্র জানায়, প্রতি মাসে মাসে চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। এখন প্রশ্ন আসে এপ্রিল মাসের চাল গেল কোথায়? এই মহামারি পরিস্থিতিতে সু-চতুর চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা গত ২২ এপ্রিল বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ট্রাক ভর্তি চাল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশকালে জনতা ট্রাক আটক করেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, বিগত মার্চ মাসের ভিজিডির চাল সুবিধাভোগীরা পাননি। এ ঘটনানাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এবং লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। ফলে সুচতুর চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা এপ্রিল মাসের ভিজিডির চাল উত্তোলন করে মার্চ মাসের আত্মসাতকৃত ভিজিডির চালের পরিবর্তে ওই চাল (এপ্রিল মাসের) বিতরন করেন। এতে আরো আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় উঠে। এই অবস্থায় বুধবার বিভিন্ন স্থান থেকে চাল ক্রয় করে আত্মসাতকৃত চাল বিতরন করে দায়মুক্তির চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান মুছা ও তার সহযোগীরা। কিন্তু জনতার কাছে শেষ রক্ষাও হলোনা চেয়ারম্যান মুসার।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অতিতেও আমরা ২/৩ মাসের চাউল এক সাথে বিতরন করেছি। এবার দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারনে চাল বিতরন করতে দেরি হয়েছে। আমি দীর্ঘ দিন নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ছিলাম ও উল্লেখিত ইউনিয়নের ৩ বারের নিবার্চিত চেয়ারম্যান আজ যে গুজব চড়ানো হয়েছে আমার বিরুদ্ধে তা আওয়ামীলীগের কিছু নামদারি ও বিএনপি জামাত কর্মীরা আমার বিরুদ্ধে অনিয়মের গুজব সৃষ্টি করে আমার মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিজিডির চাল নিয়ে যে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা এবিষয়টি তদন্ত করে চাল বিতরনে অনিয়ম ও সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান তার নিজের পকেটে রেখে অনিয়ম করেছেন। এই অনিয়মের ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।