রেড জোনে ধর্মীয় কাজে যে নির্দেশনা

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

রেড জোনে ধর্মীয় কাজে যে নির্দেশনা
Spread the love

৭৬ Views

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বিবেচনা করে সরকার সারা দেশকে এলাকাভিত্তিক জোন হিসেবে ভাগ করেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত বা উপাসনার বিষয়ে নতুন করে ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়।

 

এ ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তি ছাড়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ ঘরে ইবাদত বা উপাসনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

 

নির্দেশনায় বলা হয়, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ব্যতীত অন্য সকল মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

 

উল্লিখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনো মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

 

একই সঙ্গে উল্লিখিত এলাকাসমূহে অন্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এ সময়ে সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

 

অন্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না। সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধমীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনো প্রতিষ্ঠানে ওই সরকারি নির্দেশ লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত বা উপাসনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

 

পরবর্তীতে ৬ মে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদসমূহে সুস্থ মুসল্লীদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাযের অনুমতি প্রদান করা হয়।

 

বর্তমান বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতিশীল হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনার চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যেকোনো ছোট বা বড় এলাকাকে রেড, ইয়েলো বা গ্রীন জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

 

ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত ১২ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

 

বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নতুন এই ৬ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930