সিলেট ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্ক::
অপরিকল্পীত গাছ কর্তন, মাছ শিকার েএবং নির্বিচারে পাখি নিধনসহ বিভিন্ন কারণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলাবন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায়র লক্ষ্ণী বাঁওড়। প্রভাবশালীদের নিষ্ঠুরতায় পর্যটনের সম্ভাবনাময় এই দর্শনীয় স্থানটি বর্তমানে ধ্বংসের দিকে চলে গেলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত প্রায় ৩ কিলোমিটার আয়তনের জলাবনটি জনপ্রিয় রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টের চেয়েও বড় এবং পর্যটনে সম্ভাবনাময়। যা থেকে গাছ কেটে বিক্রি এবং মাছ শিকারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করছে স্থানীয় একটি মহল। এছাড়া প্রতিদিনই প্রকাশ্যে গাছ কেটে উজাড় করছে তারা। এখনই উদ্যোগ না নিলে দৃষ্টিনন্দন এই জলাবনটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সরেজমিন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৫৫ সালের পর থেকে বনটিকে নিজেদের মালিকানাধীন দাবি করে ব্যবহার করে আসছেন বানিয়াচং উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ চক্র। প্রতিদিন কেটে নেয়া হচ্ছে হিজল আর করজ গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ । এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি প্রতিদিনই পাখি শিকার করে বিক্রি করছে বিভিন্ন স্থানে। প্রায়ই বনের ভেতরে মৃত এবং বন্দুকের গুলিতে আক্রান্ত অর্ধমৃত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। যে কারণে বন ছেড়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, প্রাকৃতিক জলাবন একদিকে যেমন আমাদের ঐতিহ্য অপরদিকে এর পরিবেশগত দিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের এ ঐতিহ্য নিয়ে স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি রাষ্ট্র তথা সরকারও উদাসীন। সভ্য কোনো দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের এ ধরনের লুটপাট আশা করা যায় না।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, জলাবনটির ৩৭৫ একর জায়গার মধ্যে প্রায় ৭৫ একর সরকারি খাস সম্পত্তি। তাও আবার মামলাভুক্ত। যে কারণে এখান থেকে গাছ কেটে নিলে প্রশাসন বাধা দিতে পারছে না। তবে লক্ষ্ণী বাঁওড়কে পর্যটন স্পট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।