দোয়ারাবাজারের পুটিপুশি ব্রীজ ধসে দুই মাস ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০

দোয়ারাবাজারের পুটিপুশি ব্রীজ ধসে দুই মাস ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রতিনিধি/দোয়ারাবাজারঃঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের পুটিপুশি ব্রীজ ধসে প্রায় দুই মাস ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা শহরের সাথে দোয়ারাবাজার উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়কপথ। এই সড়কটি জেলা শহর থেকে সরাসরি দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নার গাঁও ইউনিয়নের আমবাড়ি-পুটিপুশি হয়ে সুরমা নদীর পাড়ে নূরপুর সিএনজি স্টেশনে এসে থেমেছে। উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী সুরমা, লক্ষীপুর ও বোগলা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ নূরপুর সিএনজি স্টেশন থেকে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে জেলা শহরে আসা যাওয়া করে থাকে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় সড়কের পুটিপুশি ব্রীজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানির তীব্র স্রোতের বেগে পিলার থেকে মাটি সরে গিয়ে গত ২৯ জুলাই এই ব্রীজটি সম্পূর্ণভাবে ধসে যায়।
পুটিপুশি ব্রীজ ধসে পরার প্রায় দুুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবং মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ব্রীজটি ধসার পর থেকে এখনোব্দি স্থানীয় নূরপুর সিএনজি স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য জান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীসহ শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারী চাকুরিজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। সময়মতো কর্মস্থলে যেতে পারছেন না তারা। জেলা শহরমুখী গাড়ি ধরতে অর্ধেক পথ-ই হেটে পাড়ি দিতে হচ্ছে। জান চলাচল ব্যাহত থাকায় অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে নানান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা রিটন দাস জানান, ব্রীজটি ধসে পড়ার পর থেকে নূরপুর সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সময়মতো কর্মস্থলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়ে গাড়ির জন্য অনেক পথ হেটে যেতে হচ্ছে। যাত্রীবাহী সিএনজি চালক কলমদর আলী জানান, প্রায় দুমাস ধরে নূরপুর সিএনজি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। গাড়ি ধরতে দীর্ঘপথ হেটে আসতে হয়, একারণে এখন যাত্রীদের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।বেশিরভাগ সিএনজি চালক এখন বেকার সময় পার করছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপক দাস জানান, পুটপুশি ব্রীজ ধসে যাওয়ার পর উপজেলা পিআইও অফিস এবং এলজিইডি অফিসকে অবহিত করেছি। তাদের এখানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের ছবিও পাঠিয়েছি।
কিন্তু এর প্রায় দুইমাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তারা আজোবধি কোনো ধরনের খোঁজখবর পর্যন্ত নেয়নি। দীর্ঘধরে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাসহ বাইরের এলাকার মানুষদের যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই। এব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দেবতোষ পাল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজটি মেরামতের জন্য শিঘ্রই সরেজমিনে গিয়ে দেখে রিপোর্ট প্রেরণ করা হবে।  জনদুর্ভোগ লাঘবে ধসে পরা পুটিপুশি ব্রীজটি অবিলম্বে মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
Spread the love