সিলেট ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
প্রতিনিধি/সুনামগঞ্জঃঃ
গত শুক্রবারে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯জনকে আসামী করে সিলেটের শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করে ধর্ষিতার স্বামী। এ মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার সকাল ৮টায় ছাতক উপজেলার নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এ দিকে হবিগঞ্জ থেকে আরেক ধর্ষক অজুনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ নিয়ে ৯ আসামীর মধ্যে ২ জনকে আটক করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।
সুত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ। সুত্র আরও জানায়, পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকালে ছাতক উপজেলার সুরমা নদীর নোয়ারাই খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে।
সুত্র আরও জানায়, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় অন্যতম আসামী ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমানের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে একই মামলার আসামী ধর্ষক অর্জুন লস্কর। রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সাইফুরের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ ও অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে।
সূত্র জানায়, ধর্ষনের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে যায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে। সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান সনাক্ত করে রবিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণধর্ষনের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা আসামী ধরতে মাঠে নামলেও তারা ছিল অধরা। শেষ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে ধরা পড়ে মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান। সাইফুর ও অর্জুন লস্করকে আটকের বিষয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন বলে পুলিশ সুত্র জানায়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | ||||
4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 |
11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 |
18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 |
25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |