দোয়ারাবাজারে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ১৭ লাক্ষ ৭৪টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২০

দোয়ারাবাজারে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ১৭ লাক্ষ ৭৪টাকা আত্মসাৎ

প্রতিনিধি/দোয়ারাবাজার::

ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে দোয়ারাবাজারের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। প্রতারণার শিকার ওই ব্যক্তি হলেন উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ। এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

 

পরে পাওনা টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগী সম্প্রতি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আননপাড়া বাঁশতলা গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন মুনসি ছেলে (সিলেট এয়ার সার্ভিসের মালিক) মাওলানা নুরুল আমিন ও উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ক্বারী আবুল হাশেমের ছেলে মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করেছেন মামলা নং সিয়ার ১৩৩/২০।

 

মামলার আরজি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভালো বেতনের চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুস সামাদের দুই ছেলে কানাডা ও সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে মাওলানা নুরুল আমিন ও মোস্তফা কামাল আব্দুস সামাদের কাছ থেকে গত ২০/০৭/১৯ ইং থেকে ১৪/০১/২০ ইং পর্যন্ত কয়েক কিস্তিতে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নেন। বর্তমানে তিনি ৮,৯৪,৫০০ টাকার মামলা করেছেন এবং ৮,৩০,০০০ টাকার মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

 

আব্দুস সামাদ বলেন আমার দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে সে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন সে আমার ফোন ও রিসিভ করে না টাকাও দেয় না। আব্দুস সামাদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে এবং এনজিও থেকে সুদে টাকা নিয়ে আমরা ১৭ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন সুদের টাকা পরিশোধ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাী-সন্তানদের নিয়ে সংসারের খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে।

 

সুরাহা না হওয়ায় আমরা আদালতে মামলা করেছি। টাকা নেওয়ার বিষয়ে মাওলানা নুরুল আমিন ও মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেনি বলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Spread the love

আর্কাইভ

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30