প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম দিনেই জলবায়ু চুক্তিতে ফিরবেন বাইডেন

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২০

প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম দিনেই জলবায়ু চুক্তিতে ফিরবেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

২০১৭ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যেই গতকাল বুধবার এই চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসার বিষ্যটি কার্যকর হয়েছে। এর পরপরই ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন প্রতিশ্রিতি দিলেন হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রথম দিনেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরবেন তিনি।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ডেমোক্রেট প্রার্থী বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ঠিক ৭৭ দিন পর বাইডেন প্রশাসন তাতে যুক্ত হবে।’

 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলে হয়, নির্বাচিত হলে আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে এগিয়ে থাকায় বাইডেন বলেছেন, জলবায়ু তার শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে।

 

বাইডেন ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশটিকে ২০৫০ সাল নাগাদ শূন্যের কোঠায় নামাতে পারে।

 

গত মাসে আমেরিকাস প্লেজ নামের একটি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটনের সাহায্য ছাড়াই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, শহর ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় দেশটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৩৭ শতাংশ কমানো সম্ভব।

 

গত বছরের ৪ নভেম্বর প্যারিস চুক্তি থেকে বের হতে এক বছরের নোটিশ দেন ট্রাম্প। ওই চুক্তিতে ফিরতে বাইডেনকে আবার জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে হবে।জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন বা ইউএনএফসিসিসি ১৯৯২ সালে প্রণীত হয়। ২৩ বছর ধরে অনেক সাধনার পর ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সারা বিশ্ব চুক্তিবদ্ধ হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘের নেতৃত্বে ওই জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পক্ষে ট্রাম্পের যুক্তি, এটি মার্কিন স্বার্থবিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষাকারী একটি পরিবেশ চুক্তি করতে তিনি আগ্রহী। তবে সেটা যদি সম্ভব না হয়, তা নিয়ে প্রশাসনের কোনো উদ্বেগ নেই।

 

বিশ্বের ১৮০টি দেশের সমর্থনে করা প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মূল লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থসহায়তা দেওয়া। ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় হার দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে বা সম্ভব হলে দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখতে বিশ্বের দেশগুলো একমত হয়।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031