সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাগুলোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেগুলো আমেরিকার জনগণ গ্রহণ করেছে, নির্বাচনের ফলে তার প্রতিফলনও দেখা গেছে। নির্বাচিত হয়েই করোনা টাস্কফোর্স গঠনের কাজ শুরু করেছেন বাইডেন। সোমবারই সেই ঘোষণা আসতে পারে। খবর রয়টার্সের।
এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়নি। মার্কিন গণমাধ্যম তাকে ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ বলছে। এর মধ্যেই করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরির পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন জো বাইডেন। সোমবারই এই টাস্কফোর্সের সদস্যদের নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি। আগামী দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে গঠন করা হতে পারে এই টাস্কফোর্স। ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর এই টাস্কফোর্সকেই একটি স্থায়ী চেহারা দেয়া হতে পারে।
রোববার বাইডেন জানিয়েছেন, দেশের সেরা বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি হবে এই টাস্কফোর্স। দলটির প্রথম এবং প্রধান কাজ যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ কমানো। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, রোগীদের চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং প্রশাসনকে সে বিষয়ে নির্দেশ দেয়া। ভ্যাকসিন আসার পর তা কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে এ দলটি।
আজই বাইডেন সাবেক সার্জন বিবেক মার্থির নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বসবেন। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সাবেক কমিশনার ডেভিড ক্যাসলারও থাকবেন এই বৈঠকে। কীভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তা নিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও করোনা মোকাবেলায় তার পরিকল্পনার কথা আজই জানাবেন বাইডেন।
নির্বাচনী প্রচারেই করোনা নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লাগাতার আক্রমণ করেছেন বাইডেন। বারবার অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্পের ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই করোনা এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্প যেভাবে বিজ্ঞানীদের অপমান করেছেন, পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন এবং তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারেই বাইডেন জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তার প্রথম কাজ হবে মার্কিন স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি এবং করোনার টাস্কফোর্স তৈরি করা। বাইডেন জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর তৈরি হবে এই টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্স মানুষের জন্য সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করবে।
নির্বাচনী প্রচারে আরও একটি দাবি করেছিলেন বাইডেন। ক্ষমতায় এলে গোটা দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করবেন। করোনার জন্য তৈরি টাস্কফোর্স এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প যেভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তারও তীব্র নিন্দা করেছিলেন বাইডেন। প্রচারেই জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে ফের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দেবেন। এ ছাড়া বাইডেন এ সপ্তাহের মধ্যে ক্যাবিনেট সাজিয়ে ফেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকম ব্যবস্থা নেবেন।
প্রসঙ্গত করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রোববারই আমেরিকায় করোনার সংক্রমণ ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। শুধু টেক্সাসেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ।