দেশে ফেরার জন্য সৌদি আরব থেকে হবিগঞ্জের সুমার আকুতি

প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

দেশে ফেরার জন্য সৌদি আরব থেকে হবিগঞ্জের সুমার আকুতি

জেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জঃ

 

আমারে বাচাঁও। ‘আমি অনেক কষ্টে আছি। আমারে উদ্ধার কর। বাড়ির বেটার স্বভাব ভালা না। আমার ওপর অত্যাচার করে। এক মাস ধইরা শরীরে জ্বর, দাঁতে ব্যথা। ডাক্তারের কাছে লইয়া যায় না। সৌদির রিয়াদে আছি। আমি আর কিছু জানি না। আমি বাংলাদেশের মাটিতে আইতাম চাই’।

 

সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সুমা আক্তার ইমোতে ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারকে তার কষ্টের কথা জানিয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে কথাগুলো বলেই বাংলাদেশে পরিবারের সাথে তার আর কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি সৌদি যাওয়ার পর দুইবার কথা হয় তার পরিবারের সাথে।

 

সুমা আক্তার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের দিন মজুর কাঠুরে মরম আলীর মেয়ে। কালেঙ্গা বনে লাকড়ি সংগ্রহ করে বিক্রি করাই তার প্রধান পেশা। তার চার মেয়ে ও দুই ছেলে। ছেলে দুটি ছোট। চার মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি সুমাকে সৌদি আরব পাঠান।

সুমার পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্র জানায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের যাত্রাগাঁও গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে কবির মিয়া (৪০) ঢাকা, বিজয়নগর রিক্রুটিং এজেন্সি এ এ অভারসীস লি.। লাইসেন্স নং আর এল-০৮৫১ এর মাধ্যমে সৌদি আরব পাঠান ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের মাঝা মাঝি সময়ে। অভাব-অনটনের সংসারে স্ত্রী, চার মেয়ে ও ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে মরম আলী একটু সচ্ছলতার আশায় দালারের প্ররোচনায় পড়ে সুমাকে সৌদি আরবে পঠান। সুমার সাথে দুই মাসে দুই বার কথা হলেও এখন আর যোগাযোগ নেই। সুমার বাবা মরম আলী গত ১২ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার  চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাসের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অফিসের নাজির জানান ইউএনও ভারতে ট্রেনিংয়ে ।

Spread the love