সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
দিনাজপুরে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও হঠাৎ করে বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম ৫০ কেজির বস্তাতে বেড়েছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা। হঠাৎ চালের এই দাম বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। এ বিষয়ে চালকল মালিকরা বলছেন, সরকারের ক্রয় অভিযান এবং বাজারে ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দামও বেড়েছে। অপরদিকে, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কারসাজির কারণে দাম বেড়েছে।
দিনাজপুরের বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা। ৪২ টাকা কেজির মিনিকেট ৪৫ টাকায়, ৩৫-৩৬ টাকা কেজির আটাশ চালের দাম বেড়ে ৩৯ টাকা, ২৫-২৬ টাকার গুটি স্বর্ণা ২৮টাকা এবং ৫০ টাকার নাজিরশাইল চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা প্রতি বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ ৬০ টাকা আগে ছিল ১৪শ’ টাকা। গুটিস্বর্ণা প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ ৫০ টাকা, আগে ছিল ১৪শ’ ৫০ টাকা। আটাশ চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৯শ’ টাকা, আগে ছিল ১৭শ’ ৫০ টাকা। উনত্রিশ চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৮শ’ ৫০ টাকা, আগে ছিল ১৭শ’ টাকা। মিনিকেট প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৩শ’ টাকা, আগে ছিল ২১শ’ টাকা।
ক্রেতারা বলেন, চালের দাম যাতে না বাড়ে সে বিষয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ দরকার। নইলে গরীবরা তো মারা যাবে। দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন সাংবাদিকদের বলেন, কৃষক ও মিলারদের নাজুক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে চালের দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিক ঘটনা। বরং মোটা চাল আগের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি তার।
তিনি আরও বলেন, কৃষকের কাছ থেকে আমরা যারা চাল উৎপাদন করে ব্যবসা করি, তারা একটা নাজুক অবস্থায় ছিলাম। কোনোভাবেই ব্যাংকের সুদ শোধ করে লাভ করতে পারছি না। এই মূল্য বৃদ্ধি আমাদের কিছুটা সহায়তা করবে।
এদিকে কৃষক সমিতি দিনাজপুরের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানান, হাটবাজারে ধান চালের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্তে¡ও চালের দাম বাড়ে কিন্তু ধানের দাম বাড়ছে না। উল্লেখ্য, দিনাজপুরে এবার দুই লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদিত হয়েছে সাত লাখ মেট্রিক টন।