মামলার আসামীরা হলো, কামাল হোসেনকে নির্যাতনকারী উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীরের ঘাঘটিয়া গ্রামের মাহমুদ আলী শাহ (৩৮), রইস উদ্দিন (৪০), দ্বীন ইসলাম (৩৫), মুশাহিদ তালুকদার (৪৫) ও মনির উদ্দিন মেম্বার (৫২)এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জন। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের ফয়সাল আহমদ (১৯), আনহারুল ইসলাম (২০), তাহির হোসেন (২০) ও মাসরিদুল ইসলাম (২৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
থানায় মামলা দায়ের ও চার জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ওসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই দিপংকর বিশ্বাস।মামলা নং ১, তারিখ ০২,০২,২০২১। মামলায় ধারা ১৪৩/৩২২/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৪২/৩৭৯ পেনেল কোড।এদিকে সাংবাদিক কামাল হোসেনকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক কামাল হোসেনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ঘটনার সাথে জড়িত দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি দৈনিক আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদাররের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক সমকাল ও এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি পঙ্কজ কান্তি দে, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ সভাপতি মোহনা টিভি জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, চ্যানেল এসের জেলা প্রতিনিধি আকরাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট জাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকায় নদীর তীর কেটে বালু-পাথর উত্তোলনের ছবি তোলার চেষ্টা করায় সাংবাদিক কামাল হোসেন (৩০) কে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা ভর্তি করা হয়েছে। সাংবাদিক কামাল হোসেন উপজেলার বাদাঘাট বাজার এলাকার কামরাবন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সাংবাদিক কামাল হোসেনকে গাছে বেঁধে মারপিটের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে সেটি ভাইরাল হয়েছে।