মিয়ানমারে আন্দোলন করলেই আটক

প্রকাশিত: ২:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১

মিয়ানমারে আন্দোলন করলেই আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

মিয়ানমারে সেনা সরকারের গ্রেফতার-নির্যাতন আতঙ্কে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটির তরুন-যুব সমাজ। বিক্ষোভ দূরের কথা ভয়ে দল বেঁধে আড্ডায় নামছে না কেউ। ফেইসবুক বন্ধের পর টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সামরিক সরকার। পুলিশের হাতে আটকের ভয়ে রাস্তায় নামছে না কেউ।

 

সেনা শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে মিয়ানমারে। অভ্যুত্থানের দিন থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন মানবাধিকার কর্মী ছাড়াও ১৩৩ জনই দেশটির নেত্রী ও সদ্য সাবেক স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি’র দল এনএলডির এমপি ও নেতাকর্মী।
নতুন করে ইয়াঙ্গুন থেকে গ্রেফতার করা হলো সু চি’র এনএলডির শীর্ষস্থানীয় ৭৯ বছর বয়সী নেতা উইন তেইনকে। রয়টার্সকে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে নিজের গ্রেফতারের কথা নশ্চিত করেন সু চি’র ডান হাত বলে পরিচিত এই নেতা। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মুখ খোলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আটক করে পুলিশ।

 

তেইন জানান, ‘বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার নেপিদোতে নিয়েছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। গ্রেফতারের আগে স্থানীয় ইংরেজি ভাষার এক সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতাগ্রহণকে ‘নট ওয়াইজ অথবা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেন তেইন। পুলিশ বলেছে, তাকে সংবিধানের ১২৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার অন্তত ২০ বছরের জেল দেয়া হতে পারে।

 

সেনা সরকারের প্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাইং বুধবার রাজধানী নেপিদোতে দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য ক্ষমতা নেয়ার কথা বললেও ক্ষমতা আরও দীর্ঘস্থায়ী করার আভাস দিয়েছেন। অন্তত ছয় মাস ক্ষমতায় থাকার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন’।এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুলো নিয়ে মিয়ানমারর সরকারের কঠোর অবস্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরওয়েভিত্তিক কোম্পানি টেলিনর। ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধিনিষেধ দিয়ে মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে’।ইন্টারনেট সেনা পুনরায় চালু করতে দেশটির শাসকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Spread the love

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930