সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক/ঝিনাইদহঃ
ডিস সংযোগে টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেটের ভিড়ে কদর পুরিয়ে গেছে রেডিও টেপরেকর্ডারের। এক সময় দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যান্ত অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি, হাট-বাজারে এলাকার চায়ের দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁয় রেডিও টেপরেকর্ডার বাজতে শোনা গেলেও ডিজিটাল এ যোগে চোখে পড়ে না বললেই চলে।
ডিজিট্যাল যুগের ছোঁয়া পড়তে না পড়তেই দ্রুত এগুলো যেন হারিয়ে গেছে। এখন আর একত্রে দল বেঁধে ছায়াছবির গানের অনুরোধের আসর, নাটক বা খবর শোনার জন্য কেউ অপেক্ষা করে না। এ সকল জায়গায় এখন স্থান করে নিয়েছে ডিস সংযোগে টিভি, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ বিশিষ্ট মোবাইল ফোন।
যে কারণে মান্ধাতা আমলের রেডিও টেপরেকর্ডারের কদর আর নেই। ফলে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে এ সকল যন্ত্র। তবে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হাসপাতাল মোড়ের চায়ের দোকানি মোতালেব হোসেন এখনো ধরে রেখেছেন এ ঐতিহ্য।ঐতিহ্যটি ধরে রাখতে টেপরেকর্ডার তার কাছে প্রায় তিন যুগ ধরে রয়েছে। এখন আর ফিতা ক্যাসেট না পাওয়ায় ওটা শুধু রেডিও হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। যত দিন বেঁচে থাকবেন টেপরেকর্ডারটি রেডিও হিসেবে আগলে রাখবেন বলে প্রতিবেদককে জানান তিনি।
প্রতিদিন ভোরে তিনি রেডিওতে প্রভাতি বাংলা অনুষ্ঠান চালিয়ে দিয়ে চা বিক্রি শুরু করেন। মাঝে মাঝে সেন্টার পাল্টিয়ে শোনেন বাংলা, হিন্দি, উর্দু গান। সময় হলে ভয়েস অব অ্যামেরিকা, বিবিসি’র খবর শোনেন ফুল ভলিউমে। এভাবে চলে ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা বা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। অধিকাংশ ক্রেতারা তাকে এ ঐতিহ্য ধরে রাখায় সাধুবাদও জানান।
চা দোকানি মোতালেব হোসেন বলেন, এখন চায়ের দোকানে ডিসের মাধ্যমে টিভি চলে। তাদের কাছে এখন আর রেডিও টেপরেকর্ডারের কদর নেই। আমার কাছে রেডিওতে খবর, বাংলা গান, পুরনো হিন্দি ও উর্দু গান চালিয়ে দিয়ে দোকানে কাজ করতে ভালোই লাগে। যে কারণে এটা ছাড়তে পারিনি।