সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০
আসাদুর রহমান সানী, নারায়নগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা অনেকগুলো মাঠের সংস্কারে হাত দিয়েছি। জিমখানা মাঠটি প্রথমে ক্রীড়া সংস্থাই দেখতো তবে তেমন কোনো উন্নয়ন করে নাই। তারপর আমি পেয়েছি। আমি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে বলতে চাই তারা যদি মনে করে, এটা তাদের কাছে থাকলে ভালো হবে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
আমার কাজ হলো মাঠকে ঠিক করে দেওয়া। মাঠ ক্রীড়া সংস্থা দেখাশোনা করতে চাইলে তা পারবে। এখানে বিবাদের কিছু নেই। সোমবার (২ মার্চ) বিকেলে নগরীর জিমখানা আলাউদ্দিন খান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শীতলক্ষ্যা ক্রিকেট একাডেমী আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শীতলক্ষ্যা ক্রিকেট একাডেমী আন্তঃক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ টিটু এবং শীতলক্ষ্যা ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম বিলু। মেয়র বলেন, জিমখানা মাঠে সারাদিনই খেলা হয়।
মাঠটিতে খুবই সুন্দর সবুজ গাছ লাগিয়েছিলাম। কিন্তু এখন একটা গাছও দেখতেছিনা। সব গাছ শেষ হয়ে গেছে। পানির পাইপ পড়ে আছে কিন্তু পানি দেয়ার কেউ নেই। আমি মনেকরি এখানে যতগুলো সংগঠন খেলাধুলা করে প্রতিটি সংগঠন যদি মিলে একসাথে বসে নিজেরা একটি পরিচালনা কমিটি করে নেয় তাহলে কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয়। আমরা একটু শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি। সেটা হলো আমরা পশ্চিম দিকে গ্যালারী করে দিবো। ফুটবল অনুশীলন হবে, কোথায় ক্রিকেট অনুশীলন হবে এবং বাচ্চাদের আলাদা খেলার জায়গা থাকবে। ড্রয়িং হয়ে গেছে । আমরা এখন এটা মন্ত্রণালয়ে জমা দিবো।
এরপর টাকা আসলেই আমরা এটা টেন্ডার করে দিবো।আমি এই মাঠের প্রতিটি সংগঠনকে ১০০টি করে গাছ দেব, তারা এই গাছ লাগাবে এবং পরিচর্যা করবে। যারা করবেনা, তাদের খেলতে দিবো না।
মেয়র জানান, শেখ রাসেল পার্কের ভিতরে অনেক বড় একটা মাঠ আমরা করছি। ঢাকার স্টেডিয়ামগুলো যেভাবে করা হয় ঠিক সে আদলে আমরা সেখানে একটি বড় মাঠ করছি। ডিএসএস ক্লাবের আদলে ২ কোটি টাকা খরচে ছোট্ট একটি মাঠ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা অনুযায়ী আমরা মাঠ, জলাশয় রক্ষার চেষ্টা করছি।
শীতলক্ষ্যা ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক খেলোয়ার ডা.রকিবুল ইসলাম শ্যামল এর সভাপতিত্বে এবং একাডেমির কোচ মাকসুদ উল আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাসিক ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস, নসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, শীতলক্ষ্যা ক্রিকেট ক্লাবের সহ সভাপতি জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক এস এম আরিফ মিহির, সাবেক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলোয়ার ডা.মোজাফফর আহমেদ বাবু, শীতলক্ষ্যা ক্রিকেট ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক কোচ আবদুর রবসহ ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়ারবৃন্দ। ফাইনাল খেলায় বন্ধু চ্যালেঞ্জার্সকে ৬৯ রানের বিশাল ব্যাবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রেড রেঞ্জার্স।