ই-পাসপোর্ট: আর দাঁড়াতে হবে না ভিসা চেকিংয়ের লাইনে

প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০

ই-পাসপোর্ট: আর দাঁড়াতে হবে না ভিসা চেকিংয়ের লাইনে
Spread the love

১০০ Views

দেশে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে আজ এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।

ই-পাসপোর্ট কী?
বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে। তবে যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ।

ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন। গত জুলাইতে যখন প্রথম ই-পাসপোর্ট বিতরণ কর্মসূচির তারিখ ঠিক হয়, তখন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে। আমরাও সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছি।

এমআরপি আর ই-পাসপোর্টের পার্থক্য
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আর ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) এর মধ্যে পার্থক্যকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন।

তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন।


Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

April 2023
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930