সিলেট ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
প্রতিনিধি/সুনামগঞ্জঃঃ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় রইছ উদ্দিন নামের ১ জনকে আটক করেছে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ। রইছ উদ্দিন দীর্ঘদিন সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ ওঠায় নতুন কমিটিতে স্থান মেলেনি এই সাবেক নেতার।
জানা যায়, বেহেলীর বৌলাই নদী দিয়ে বালু ও পাথর বোঝাইকৃত নৌকা থেকে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা না দিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নৌকার শ্রমিকদের উপর তাঁর বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করতো।
সর্বশেষ গত সোমবার দুপুরে বেহেলী ইউনিয়নের বেহেলী বাজার সংলগ্ন বৌলাই নদীতে বালু ভর্তি নৌকা থেকে চাঁদা আদায় করতে গেলে নৌ শ্রমিক হোসাইন আহমদ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে চড়াও হয়ে উঠে নৌকার শ্রমিক হোসাইন আহমদ ও তাঁর লোকজনের উপর। এক পর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ বেধরক মারধর করেন হোসাইন আহমেদকে।
এতে হোসাইন আহমদ গুরুতর আহত হন। সে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে জামালগঞ্জ থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে জানাযায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের মো. শহীদ মিয়ার ছেলে হোসাইন আহমদ তাঁর মালবাহী নৌকা নিয়ে সোমবার দুপুরে বেহেলী ইউনিয়নের বেহেলী বাজার সংলগ্ন বৌলাই নদী দিয়ে যাওয়ার সময় আসামীগণ চাঁদা দাবী করে।
এসময় বাদী নৌ শ্রমিক হোসাইন আহমদ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীগণ হোসাইন আহমদ ও তাঁর লোকজনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ বেধরক মারধর করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভিযান চালিয়ে ১নং বিবাদী রইছ উদ্দিনকে আটক করে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে ধারা ৩২৩/৩২৫/৩৮৫/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা রুজু হয়। মামলা নং-৬, তারিখ ১৮/০১/২০/২২।
মামলায় রইছ উদ্দিন ছাড়াও আরো আসামী করা হয়েছে বেহেলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আক্তার আলী (মো. আপ্তর আলীর) ছেলে রইছ উদ্দিন (৪০) ও তাঁর সহোদর জসিম উদ্দিন (৩৫), একই গ্রামের আব্দুর রব মিয়ার ছেলে কাসেম মিয়া (৪৮), মশালঘাট গ্রামের মৃত বাবলু তালুকদারের ছেলে জয়ন্ত তালুকদার (৪০), রাধানগর গ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে নদু মিয়া (৪৮)এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, নৌপথে চাঁদাবাজির মামলায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।