মধ্যনগরে সরকারি ভবন নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২২

মধ্যনগরে সরকারি ভবন নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
১৪২ Views

প্রতিনিধি/ধর্মপাশাঃঃ

সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

 

অফিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দুইতালা ভবনের অনুমোদন দেয় সরকার। আমেনা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পাওয়ার পর থেকে ঠিকাদার রহুলাআমিন নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ইট, বালু, পাথর ও রড ব্যবহার করেন। তবে এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করেন নি।

 

বুড়িপত্তন গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বলেন,পাইলিং থেকে শুরু করে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সবকিছুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেছে। ঢালাইয়ে সিমেন্টের পরিমাণ কম ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে ঝুরি ঝুরি করে পাথরগুলো ছাদ থেকে খসে পড়ছে। বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, গ্রামের স্কুল মানে এলাকার স্থায়ী সম্পদ।

 

শুরু থেকেই ঠিকার রহুল আমিন ওই স্থানে উপস্থিত না থেকে তার লোকদের দিয়ে সব নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ভবনের কাজ করে আসছেন।এতে আমরা বার বার প্রতিবাদ করলেই আমাদের কথা তিনি না শুনে নিজের ইচ্ছে মত কাজ করে যাচ্ছেন।

 

বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমাদের নতুন ভবনের কাজটি ঠিকাদার তার ইচ্ছে মত যে ভাবে খুশি করছেন। কোন কর্ণপাত করেন নাই। আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্টানকে বারবার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও তিনি মানেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফা খাতুন বলেন, এই কাজের বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি।

 

বংশকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ বলেন,গ্রামবাসী আমার কাছে এসেছিল,তাদের অভিযোগের কথা বলেছে। টিকাদার ভালনা, সে ইচ্ছে মত নিন্মমানের কাজ করে,কেউ কিছু বললে, চাঁদাবাজী মামলায় ফাসানোর ভয় দেখায়। তার আচার-আচরণ ভালো না।আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানাব যাতে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করে।

 

ঠিকাদার রহুলামিন বলেন, এখন কাজের অনিয়ম হওযার কোনো সুযোগ নেই। কাজটি ভালো করেই আমরা করছি। এলাকার লোকজন আবাদি ওরা কিছু বুঝেনা।

 

উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান বলেন, সরেজমিনে দেখেছি মালামল ভাল আছে, পিনিসিং ভাল হয় নাই মেস্তরী ভালনা। ভালো করে কাজ করতে বলেছি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওন) মোঃ মোনতাসির হাসান বলেন, এবেপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Follow us

আর্কাইভ

March 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031