সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ছাড় নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে সভায় জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভয়-ভীতিহীন সাংবাদিকতা সম্পর্কে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিটার ডি হাস বলেন, অভিযোগের সুরাহায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও বাহিনীটিকে জবাবদিহিতায় আনা ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। আমরা র্যাবকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই।
তবে তাদের মৌলিক মানবাধিকারও মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করে যাবে, যেভাবে গত ৫০ বছর কাজ করে গেছে। গত সপ্তাহে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সাম্প্রতিক সমীক্ষার উদাহরণ টেনে পিটার হাস বলেন, অবাধ গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে ঠিক পথে আছে, তা কিন্তু নয়; রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী ১৮২টি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪২তম।
অর্থাৎ শীর্ষ তালিকার কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্র নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। একই সমীক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম। পিটার হাস ওই আলোচনায় বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আলোচনা সভায় ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।