সিলেট ২৫শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২২
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
দেশে এখন কথায় কথায় আমলাদের গালি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমলারা দেশের মানুষ, তাদের বাদ দিয়ে দেশ চলবে না।’ সোমবার (১৩ জুন) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনাকালে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজকাল আমলাদের কথায় কথায় গালি দেওয়া হয়।
কিছু হলেই তাদের গালি দেওয়া হয়। ব্যুরোক্র্যাটরা তো এ দেশের মানুষ। তাদের বাদ দিয়ে দেশ চলবে না।’ আমলাদের পাশাপাশি নিজেরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করেছি, তারা আমলা হয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে তো দেশ চলবে না। তারা সরকারের অধীনে কাজ করেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন।’ পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে আমলাদের প্রভাব বাড়ছে, সংসদ সদস্যদের এমন সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এতে জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়নি। সেখানে পৌরসভার মেয়ররাই সুপ্রিম। আমি যখন দায়িত্ব নিই, তখন মাত্র ৩৮টি পৌরসভা বেতন ভাতা দিতে পারতো।
এখন প্রায় সব পৌরসভা নিজেদের অর্থায়ন থেকে বেতন ভাতা দিতে পারে। এমনকি কোনও কোনও পৌরসভা জায়গা কিনছে। অর্থাৎ পৌরসভায় পরিবর্তন আসছে। জবাবদিহির জায়গাটা নিশ্চিত হয়েছে বলেই উন্নত হচ্ছে।’ সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে উল্লেখ করে বিএনপি দলীয় এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। জনগণের ভোটে নির্বাচিত এটি বড় ইউনিট। কিন্তু বছরের পর বছর উপজেলা চেয়ারম্যানদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অধীন করে রাখা হয়েছে।
তাদের আইনি লড়াইও চালিয়ে যেতে হয়েছে।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিয়ে উপজেলা পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি বলেও জানান তিনি। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘স্পর্ধা এতই বেড়েছে যে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লিখছেন তারা।