দোয়ারাবাজারে আবারো পানি বৃদ্ধি, শঙ্কিত উপজেলাবাসী

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২২

দোয়ারাবাজারে আবারো পানি বৃদ্ধি, শঙ্কিত উপজেলাবাসী
৩১৭ Views

প্রতিনিধি/দোয়ারাবাজারঃঃ

সাম্প্রতিক বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকায় একটুখানি আশার সঞ্চার হয়েছিল, স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিলেন দফায় দফায় জর্জড়িত সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বানভাসি লাখো মানুষ। স্মরণকালের সর্বনাশা এ ভয়াল বন্যার রেশ কাটিয়ে পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বাঁচার তাগিদে খেয়ে না খেয়ে বাঁচার তাগিদে আবারো তৎপর হয়েছিলেন বানভাসিরা। সোমবার (২৭ জুন) রাত থেকে আবারো শুরু হয়েছে মুষলধারে ভারি বৃষ্টিপাত। সুরমা, চিলাই, চলতি, চেলা, মরা চেলা, কালিউড়ি. খাসিয়ামারা ও ছাগলচোরা সহ সকল হাওড় খাল-বিলে হু হু করে পানি বাড়ছে। সীমান্তবর্তী লক্ষীপুর, বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নসহ উপরিভাগের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের পানি ৫৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির আশপাশে থই থই করছে।

 

তবে রাতভর বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে এসব অঞ্চলের বাড়িঘরে আবারো পানি প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে আবারো শঙ্কায় রয়েছেন ওই এলাকার বাড়িঘর থেকে সদ্য পানি নেমে যাওয়া লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে সুরমা, বগুলা.দোহালিয়া, মান্নারগাঁও ও দোয়ারাসদর সহ নিম্নাঞ্চলে এখনো পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে সর্বাদিক ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। বর্তমান বন্যার পানি না কমতেই আবারো ভয়াল বন্যার অশনি সংকেত। এ যেনো মড়ার উপর খাড়ার ঘা। তাদের আহাজারিতে প্রকম্পিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস। উপদ্রুত এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকলেও তা অপ্রতুল বলছেন বন্যার্তরা।

 

পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, খাবার স্যালাইন ও জরুরি ঔষধপত্রসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বানভাসিরা। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, ১০দিন বিরতির পর আবারো লাগাতার বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীমান্ত নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে বিভিন্ন এলাকায় আবারো পানি বাড়ছে। তবে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনসহ আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলো উপদ্রুত এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পানি বিশদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইনসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

March 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031