সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
প্রতিনিধি/লন্ডনঃ
বাংলাদেশী বিমানে লন্ডনের যাত্রীরা নানা দূভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা্ত্রাকালে নানা হয়রানীর স্বীকার হয়ে বিমানের রেখে দেয়া হোটেলেই অবস্থান করতে হচ্ছে যাত্রীদের। লন্ডনগামী যাত্রীদের অভিযোগ, দেশের প্রতি ভালোবাসার টানে দেশে এসে আমাদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিমানে যাতায়ত কালে আমাদের বেহাল দশার মধ্যে পরতে হচ্ছে। পরিবার নিয়ে বিমানে আসা-যাওয়াকালে বিমানের কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য আমাদের দূর্ভোগের শেষ হয়না। অনেক সময় যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। বিমানের এসব গাফিলতির কারনে বিমানের প্রতি যাত্রীদের অতনহা দেখা দিয়েছে। বিমান বাংলাদেশ অনেক সময় যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে থাকে। অভিলম্বে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিমানের উধ্ধর্তন কর্মকর্তাদের আহবান জানান লন্ডনগামী য়াত্রীরা।
সম্প্রতি স্বপরিবারে বাংলাদেশ বিমান করে লন্ডনে যাত্রাকালে বিরম্ভনার স্বীকার হয়ে বিমান ভ্রমনের অভিজ্ঞতা ও ক্ষোভের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজের আইডি থেকে পোষ্ট করলে তা ভাইরাল হয়। ফেইসবুকে ভাইরালকৃত এসব পোষ্ট বৃটেনে বসবাসরত ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা বিমান বাংলাদেশে অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারী স্বপরিবারে বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০০১ ফ্লাইটে সমস্ত যাত্রীগনসহ বৃটেন প্রবাসী হাবিবুর রহমানতার পরিবারের সদস্যদের বিমান সম্পর্কে খুবই বাজে অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই দিন (৮ জানুয়ারী) সকাল দশটা পনের মিনিটে ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইটের জন্য ৭ জানুয়ারী সিলেট থেকে ঢাকা নিয়ে এসে যাত্রীদের অত্যন্ত নিম্নমানের হোটেলে রাত্রি যাপনের ব্যাবস্থা করে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। ভোর সাড়ে পাঁচটায় যাত্রীদের হোটেল থেকে বিমান বন্দরে আসার জন্য ডাকা হয়।
পৌনে সাতটার বিমানবন্দরে এসে যাত্রীরা সিডিউল স্কৃনে দেখতে পান, লন্ডন ফ্লাইট এক ঘন্টা পাঁচ মিনিট দেরী,৯ টার দিকে যাত্রীদের সিকিউরিটি তল্লাশি করে রাখা হয় বন্দী শিবিরের মত একটা কক্ষে যেখানে যাত্রীরা আসার আগেই সাথে থাকা পানি পর্যন্ত রেখে দেয় কর্তৃপক্ষ । ওই ফ্লাইটের যাত্রী হাবিবুর রহমান জানান,লন্ডনে স্কুল হলিডে থাকায় ফ্লাইটের যাত্রীদের প্রায় সবাই ছিলেন স্বপরিবারে, বেশির ভাগই স্কুল গামী শিশুরা। ফ্লাইটটি যেখানে ঢাকা থেকে সকাল ১১-২০ মিনিটে ছাড়ার কথা সেখানে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বিমান ছাড়ার নাম নেই। ফলে যাত্রীরা পিপাশা আর পেটের ক্ষিধায় বাচ্চারা কান্না কাটি শুরু করে। এব্যাপারে যাত্রীরা অসহায়ের মতো বিমানবন্দেরে কর্তর্ব্যরত বিমান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো বিমানের কর্তব্যরত লোকজন যাত্রীদের জানান, বেশী সমস্যা হলে বোর্ডিং পাস তাদের কাছে জমা রেখে বাইরে থেকে খেয়ে আসার পরামর্শ দেন ।
এসময় অধিকাংশ যাত্রীরা, বিমানের দ্বায়িত্বরতদের কাছে সিডিউল জানতে চাইলে তারা কোনো সিডিউল জানাতে পারেননি। এসময় প্রায় সব যাত্রীরা বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে অনেক বাক বিতন্ডার জড়িয়ে পরলে বিমানের লোকজন জানান, ওই ফ্লাইটের বিমানটি এখন কলকাতা আছে আর এটা একেবারে নতুন বিমান। কলকাতা থেকে আসার পর নতুন সেট আপ করে যাত্রীদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। তবে বিমান ঢাকায় আসতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা বলতে ব্যার্থ হন কর্মরতরা। পরবতীর্তে দুপুর ১টার পর বিমানের পক্ষ থেকে যাত্রীদের অত্যন্ত নিম্নমানের কিছু ব্রেড ও আশিংক কেক পরিবেশন করা হয় । ওই দিন যাত্রীদের সাথে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করে বিমান কর্তৃপক্ষ । অনেক দূর্ভোগের পর ওই ফ্লাইট বিকেল আড়াইটায় যাত্রীদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে । বিমান কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের বিষয়ে ইতিমধ্যে বৃটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃনন্দর অবগত হয়েছেন। বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের এমন দুর্ব্যবহার থেকে যাত্রীদের রক্ষায় সবাইকে সম্মেলিতভাবে প্রতিবাদ গড়ে তুলার আহব্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আইডি থেকে পোষ্ট করেন তিনি।
এলবিএন/২৫-জ/এস/৭০/০৮-২