সিলেট ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দরে এসে দাঁড়ায়। তাতে অস্ত্র মজুত করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর জাহাজটি রাশিয়ার দিকে রওনা হয়। এমন অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ আফ্রিকা এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো পক্ষ নেয়নি। বরং তারা মধ্যবর্তী অবস্থান নিয়েছে। কোনো পক্ষকেই ভোট দেয়নি। কিন্তু তারা গোপনে রাশিয়াকে সমর্থন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে কারণেই সম্পূর্ণ গোপনে তারা রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি সাইমন টাউনে রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ এসে দাঁড়ায়। অথচ জাহাজটির সেখানে দাঁড়ানোর কথা নয়। কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রাকে করে অস্ত্র নিয়ে গিয়ে ওই জাহাজে ভর্তি করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এখনই পাল্টা আক্রমণের পথে যাচ্ছে না ইউক্রেনের সেনা। তবে প্রস্তুতি চলছে। ইউক্রেনের যত জমি রাশিয়া দখল করে রেখেছে, তার পুরোটাই পুনর্দখল করা হবে। কিন্তু এখনই পাল্টা আক্রমণে যাওয়া সম্ভব নয় বলে তাঁর অভিমত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আরও বেশ কিছু অস্ত্র প্রয়োজন, আর্মার্ড ভেহিকেল প্রয়োজন। সেগুলো ছাড়া পাল্টা আক্রমণে গেলে প্রচুর সেনার মৃত্যু হবে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
অপর এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবাও একই কথা বলেছেন। তবে কুলেবা জানিয়েছেন, পাল্টা আক্রমণ হবেই। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
এদিকে ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত এক বছরে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ মিলেছে। পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনকে প্রয়োজনে আরও সাহায্য করা হবে।