সিলেট ৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে গতকাল রোববার। এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলীয় নেতা কেমাল কিলিচদারুগলুর মধ্যে দেশটির কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে কোনো প্রার্থীই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তুরস্কের প্রধান নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় সব ভোটই গণনা করা শেষ হয়েছে।
এর মধ্যে এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারুগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোট। তবে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ায় দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে আগামী ২৮ মে। আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেছেন, প্রয়োজন হলে তিনি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছায় আমি দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি। এই নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনেও আমরা জাতীয় ইচ্ছাকেই সম্মান জানাব।
’ এদিকে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন কেমাল কিলিচদারুগলু। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। তুরস্কের কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প এবং বাড়তি মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। তুরস্কে ছয় কোটি ৪০ লাখ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ লাখ হচ্ছেন নতুন ভোটার, যাদের বয়স ১৮-২২ বছরের মধ্যে, যারা প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন এরদোয়ান। দেশটিতে এতদিন অনেকটা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন তিনি। তবে দেশটিতে রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনেই এবার এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে। কেননা এবারের নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন এরদোয়ান।