সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
লন্ডনবাংলা ডেস্ক:
চীনে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সব ধরনের বাস, মেট্রো এবং ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া সব ধরনের বিমান এবং ট্রেন চলাচলও বাতিল করা হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দুর্ভোগে পড়েছেন চিনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ওই দেশের উহান শহরেই প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটক পড়ায়, দ্রুত দেশে ফিরতে দূতাবাসের সাহায্যও চেয়েছেন।
ফেইসবুকের মাধ্যমে অনেকেই দেশে ফিরে আসার আকুতি জানাচ্ছেন। হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে মেকানিক্যাল অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা রাকিবুল তূর্য
ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি চায়নায় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহর উহানে আমি বাস করছি। এখানে আমরা প্রায় ৫০০ জনেরও অধিক বাংলাদেশি উহানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যায়নরত। উহান থেকে বহির্গামী সব বাস-ট্রেন এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন মারা গেছে এবং ৬০০-এরও বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা চাইলেও এখন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছি না।’
তার অভিযোগ, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এমন নিউজ বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচার করা হলেও এ খবর ভিত্তিহীন। আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার খোঁজ নেয়া হয়নি। আমরা সবাই কঠিন মুহূর্ত পার করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করেন।’
তূর্য বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চললেও তাকে ২৩ জানুয়ারি থেকে হোস্টেলে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো অন্তত আরও ১৪০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন। সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমরা কোনোভাবেই খাবার সংগ্রহ করতে পারছি না।’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সবাই খুব চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। বলা যায় মৃত্যুপুরীতে আছি। সবাই উৎকণ্ঠায় আছি। দোকানপাট বন্ধ, ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। দূতাবাস থেকে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। আমরা দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।’
হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী শাফায়াত উল্লাহ খান বলেন, ‘কিছু কিছু সংবাদে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাস থেকে আমাদের কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছি।’