সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
পার্লামেন্টে আদিবাসীদের স্বীকৃতি নিয়ে একটি গণভোট আয়োজন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী ১৪ অক্টোবর এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গণভোটের ইতিবাচক ফল এলে টোরেস দ্বীপের বাসিন্দা ও আদিবাসীরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে। পার্লামেন্টে আইন প্রণয়নে নিজেদের দাবির কথাও তুলে ধরতে পারবে। সেজন্য একটি পরিষদ গঠন করা হচ্ছে যার নাম দ্য ভয়েস অব ইনডিজেনাস পিপল। সংক্ষেপে বলা হচ্ছে দ্য ভয়েস।
বেশ কিছুদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিগত ৫০ বছরে দেশটিতে কোনো সফল গণভোট আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। আদিবাসীদের স্বীকৃতি আদায়ে বেশিরভাগ অস্ট্রেলীয়কে হ্যাঁ ভোট দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ছয় রাজ্যের অন্তত চারটিতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে।
চলতি বছর জুনে পার্লামেন্টে এই সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়। সে সময় আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান বিষয়ক মন্ত্রী লিন্ডা বার্নি বলেছিলেন, এই অগ্রগতির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ‘এই মহান দেশকে আরও মহান করার পথে এক ধাপ কাছাকাছি’ নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে, ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানরা ইনডিজেনাস নয় এমন অস্ট্রেলিয়ানদের থেকে ধারাবাহিকভাবে খারাপ অবস্থায় আছে। এটি একটি ভঙ্গুর ব্যবস্থা। এবং ভয়েসই হলো এটি মেরামত করতে আমাদের সর্বোত্তম সুযোগ। কারণ, আমরা যখন সাধারণ লোকেদের কথা শুনি এবং স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করি, তারা আরও ভাল সিদ্ধান্ত নেয় এবং আরও ভাল ফলাফল অর্জন করে।’
গণভোটের তারিখ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই গণভোটকে ইতিহাসে একবার আসা সুযোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ভোট আমাদের দেশের সবাইকে এক হওয়ার ও ভবিষ্যত সুন্দর করার সুযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, দ্য ভয়েস হবে আদিবাসী অস্ট্রেলীয়দের একটি কমিটি, যা নির্ধারণ করবে আদিবাসী অস্ট্রেলীয়রাই। তারা সরকারকে পরামর্শ দেবে যেন আমরা আদিবাসী অস্ট্রেলীয়দের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে পারি।
অস্ট্রেলিয়ায়ই একমাত্র কমনওয়েলথভুক্ত দেশ যেখানে আদিবাসীদের সঙ্গে সরকারির কোনো চুক্তি নেই। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ‘দ্য ভয়েস’ অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশটিতে প্রায়ই আদিবাসীরা বৈষম্যের শিকার হয়। এখন পর্যন্ত ৪৪টি আয়োজিত গণভোটের মাত্র আটটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। সর্বশেষ সাফল্য আসে ১৯৭৭ সালে।