লিবিয়ায় বন্যায় ভেঙে গেল বাঁধ, ১০০০ মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩

লিবিয়ায় বন্যায় ভেঙে গেল বাঁধ, ১০০০ মানুষের মৃত্যু

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

লিবিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার। মঙ্গলবার বন্যা স্রোতে ভেঙে গেছে ডের্না শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। এতে শহরের প্রায় এক চতুর্থাংশ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সদস্য হিশেম শিখওয়াত বলেন, ‘আমি ডের্না থেকে ফিরলাম।

 

 

 

সেখানে খুবই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা। চারপাশে মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তিরি বলেন, এখন পর্যন্ত শহরটিতে ১ হাজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চূড়ান্ত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাড়িয়ে বলছি না, শহরের ২৫ শতাংশ এলাকা হারিয়ে গেছে, অনেক ভবন ধসে পড়েছে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব লিবিয়ান সরকারের নেতা জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা দুই হাজার। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে এই সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়।

 

 

 

লিবিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জালেই হারচাওই বলেন, মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়াতে পারে। রবিবার লিবিয়ায় আঘাত আনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। বেনগাজি, সুসে, ডের্না ও আল মারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন সাত সেনা সদস্য। গতকাল সোমবার রেড ক্রিসেন্ট এর প্রধান জানিয়েছিলেন, ডেরনা শহরেই মৃতের সংখ্যা বেশি। শহরটিতে এক লাখ মানুষের বসবাস। সেখানকার দুটি বাঁধ বন্যার স্রোতে ধসে গেছে। পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ জানিয়েছেন, ডেরনা শহরের পুরো অংশই যেন হারিয়ে গেছে।

 

 

 

মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার। তবে এই তথ্যের কোনো উৎস তিনি প্রকাশ করেননি। লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ বেইবা বলেন, রবিবার সবগুলো রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে দ্রুত পরিস্থিতি সামালের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে লিবিয়ায় দুটি প্রতিদ্বন্দ্বি সরকার রয়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে বিভাজন প্রকট হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে দুই সরকারই।

Spread the love