সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সোমবার পর্যন্ত ৩৯ দিনে অন্তত সাত লাখ শিশু ঘরছাড়া হয়েছে। তাই অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইউনিসেফ জানায়, গাজায় সাত লাখের বেশি শিশু ঘরছাড়া হয়েছে। তারা সবকিছু ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এ অঞ্চলে মানবিক সহায়তার চাহিদা বেড়ে গেছে।
তাদের টেকসই ও নির্বিঘ্ন সহায়তার জন্য দরকার যুদ্ধরিবরতির। সেই সঙ্গে যেসব শিশুকে জিম্মি করা হয়েছে, তাদের নিরাপদে মুক্তি দাবি করেছে ইউনিসেফ। ২৮ অক্টোবর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তারা ইতোমধ্যে উত্তর গাজাকে উপত্যকাটির বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। অঞ্চলটির সবকটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল আশ-শিফা ও আল-কুদসের কার্যক্রম দুই দিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
জ্বালানির অভাবে উপত্যকাটির সব হাসপাতালের কার্যক্রম ৪৩ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পরিস্থিতিতে গাজা সিটির আশ-শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের সেনারা। হাসপাতালটির চারদিকে হামাসের যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। পাশাপাশি প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিকসহ চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
জবাবে গাজায় নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা, গোলা ও ড্রোন হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলা সোমবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত ৩৯ দিনে গাজায় ১১ হাজার ২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ৪ হাজার ৫০০ এর বেশি। নারী ৩ হাজার ৫০০ এর বেশি। গাজায় নিখোঁজ রয়েছে আরও প্রায় আড়াই হাজার। নিখোঁজদের মধ্যে শিশু প্রায় দেড় হাজার। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ১৭ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। অর্থাৎ উপত্যকাটির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ নানা মাত্রায় ঘরছাড়া হয়েছে। গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ থেকে ২৪ লাখ।