সিলেট ১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫
 
                                                                          প্রতিনিধি / জগন্নাথপুর ::
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে রীতিমতো জমে উঠছে নির্বাচনী আমেজ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ও কয়েকটি ইসলামী দল থেকে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে।
এরমধ্যে বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী এমএ কাহার এর নির্বাচনী পালে লেগেছে বসন্তের হাওয়া। সামাজিক ও গণমাধ্যম সহ বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণায় তুঙ্গে রয়েছেন এমএ কাহার। ইতোমধ্যে এমএ কাহারের সমর্থনে বিভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।
বর্তমানেও তিনি জনমত আদায়ে মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন। দিনরাত চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও ভোট প্রার্থনা। ফলে যতো দিন ঘনিয়ে আসছে, ততোই বাড়ছে এমএ কাহারের জনপ্রিয়তা। এমএ কাহারের পক্ষে দলেদলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে নতুনমুখ হলেও আরেকজন হেভিওয়েট প্রার্থী এমএ কাহার নির্বাচনে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। এমন খবরে ভোটাররাও নতুন করে কষতে শুরু করেছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ। নতুন করে নির্বাচনী আলোচনায় সরব হয়ে উঠেছেন এমএ কাহার।
সুনামগঞ্জ ৩ হচ্ছে, একটি মর্যাদার আসন। এ আসন থেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ আবদুস সামাদ আজাদ, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সহ নির্বাচিত সাংসদরা অতীতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ফলে এ আসনটি সবার কাছে মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত। তাই মর্যাদার এ আসনে বসাতে একজন সৎ, যোগ্য ও সজ্জন মানুষ খোঁজছেন জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলাবাসী। যাকে নিয়ে গর্ববোধ করা যায়। জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণে এমএ কাহার সবদিক থেকে একজন গ্রহণযোগ্য মানুষ।
অতীতে আওয়ামীলীগের ঘাঁটি খ্যাত সুনামগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। পারেনি যোগ্য একজন প্রার্থী দিতে। তাই মর্যাদার এ আসনকে ছেড়ে দিয়েছিল শরীক দলের হাতে। এবার আওয়ামীলীগ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বা অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে আওয়ামীলীগবিহীন এ আসনটি পূনর্দ্ধার করতে সুযোগ পেয়েছে বিএনপি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ আসনটি বিএনপির দখলে নিতে একজন সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। আবার প্রার্থী মনোনয়নে ভূল করলে আসনটি চলে যেতে পারে কোন ইসলামী দলের দখলে। ফলে নির্বাচনের মতো কঠিন লড়াইয়ে জিততে হলে আর্থিক, সামাজিক ও জনগণের প্রিয় ব্যক্তিকে দলীয়ভাবে মনোনীত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এমএ কাহার এর বিকল্প নেই।
এমএ কাহার সর্বদা হাসিমুখের মানুষ। শিল্পপতি হওয়া সত্বেও তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে চলতে স্বাচ্ছন্নবোধ করেন। মানুষের দুঃখ কষ্টকে ভাগ করেন নেন। অন্যের কষ্টে তিনি ব্যতিত হন এবং সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি জনসেবা করতে খুবই পছন্দ করেন। এমনিতেই তিনি সারা জীবন ধরে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে জনপ্রতিনিধি হলে তিনি আরো ব্যাপক ভাবে এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন বলে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়েছেন। এমএ কাহারের যুক্তরাজ্যে ও বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এমন একজন সজ্জন ব্যক্তি জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইসহাকপুর গ্রামের কৃতী সন্তান ও যুক্তরাজ্যের সুইন্ডন সাউথ ওয়েস্ট রিজন বিএনপির সাবেক সভাপতি, সুইন্ডন-বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, ব্যবসায়ী, দানবীর, গরীব-দুঃখি মেহনতি মানুষের বন্ধু এমএ কাহার। এমএ কাহার যুক্তরাজ্যের সুইন্ডন শহরের সাবেক মেয়র ও বর্তমান কাউন্সিলর আবদুল আমিন এর বড় ভাই।
১৯৭৮ সাল থেকে এমএ কাহার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত আওয়ামীলীগের আমলে তিনি অনেকবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দল ও সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ এমএ কাহারকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দল তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। যুক্তরাজ্য প্রবাসী এমএ কাহারকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন এমন ব্যক্তিরা তো তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
তাদের মতে, এমএ কাহারের মতো ভালো মানুষ যদি সুনামগঞ্জ ৩ আসনে এমপি হন, তাহলে অত্র অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে। কারণ তিনি বিত্তশালী মানুষ হলেও কোন অহঙ্কার নেই। সুতরাং অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। তিনি একজন ন্যায় পরায়ন মানুষ। অন্যায়কে তিনি কখনো প্রশ্রয় দেন না। ফলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন তাঁর কাছ থেকে আশা করা যায়। এলাকায় এমএ কাহারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। শুধু বিএনপি দলীয় ভাবে তাঁকে মনোনীত করলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ভোটার সাধারণ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচিত করবেন এমন আশা স্থানীয় ভোটারদের।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী এমএ কাহার জানান, আমি এমনিতেই সারা জীবন ধরে যতোটুকু সম্ভব মানুষের দুঃখে কষ্টে পাশে দাঁড়িয়েছি। সাধারণ মানুষও আমাকে খুব ভালবাসেন। বিগত ১৬ বছর ধরে দেশে কোন নির্বাচনী পরিবেশ ছিল না। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মানুষ চাইছেন আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। তাই মানুষের প্রত্যাশা পুরণে আমিও নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়েছি এবং ভোটারদের দোয়া চেয়েছি। ভোটাররাও উৎসাহিত করেছেন।
ফলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ এলাকার দেশে ও বিদেশে থাকা ভোটারদের কাছ থেকেও আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যার ফলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ আমার আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাকে ঘিরে মানুষের চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশার স্বপ্ন পূরণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাকে নিয়ে রীতিমতো জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়।
এখন শুধু বিএনপির হাই কমান্ড যদি আমাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন, তা হলে মূল ভোটযুদ্ধে লড়াই করতে পারবো। দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের ভোটারদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টির মাধ্যমে আমার বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ।
| M | T | W | T | F | S | S | 
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | |||||
| 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 
| 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 
| 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 
| 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 | 
 
 