সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
রনিক পালঃঃ
বর্তমান সরকার গ্রামকে শহর করার জন্য গ্রাম পর্যায়ে উন্নেয়নের ছোঁয়া পৌছে দিতে অবহেলিত জনপদের দিকে নজর দিলেও অবহেলিত রয়েই গেল সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন। অবহেলিত এ জনপদটিতে আজো বৃহৎ কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ছোয়া লাগেনি। উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে অবহেলিত রয়েই গেল পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের জনপদ।
এ জনপদের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আজো হয়নি। উন্নয়ন তো দূরের কথা আরো এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামকে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। পূর্ব পৈলনপুরের ঐয়া গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ড্রেজার দিয়ে কোনো ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে বালু উত্তোলন। আর অবাদে বালু উত্তলনের জন্য গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্নের পথে।
স্থানীয় প্রশাসন যখনই এই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে যায় যান তখনই অদৃশ্য একটি মহলের ইঙ্গিতে বালু খেকোরা খসটকে পড়ে। তাই স্থানীয় প্রশাসন বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টায় আছেন বলে প্রেশাসনের একাধিক সূত্র নিশ্চত করেছে। এই বালু খেকোদের কাছ থেকে রেহাই চান স্থানীয় এলাকাবাসী। তাই এই বালুখেকোদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পৈলনপুরের ঐয়া গ্রামস্থ কুশিয়ারা নদীর তলদেশ থেকে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলকে ম্যানেজ করে প্রায় ৩ মাস যাবত বালু উত্তোলন করছে একটি সিন্ডিকেট। প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকার মতো বালু বিক্রি করছে এই অসাধু মহল। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী গ্রাম ঐয়া প্রায় নিশ্চিহ্নের পথে।
জানা যায়, নদীর উপর থেকে তলদেশ পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফুট গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে গড়ে উঠা ঐয়া গ্রামের কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা সহ একাধিক স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন।
ঐয়া গ্রামের মো. আছকির আলী, মো. নাসির উদ্দিন, বখতিয়ার উদ্দিন, আখতার মিয়া, মুহিবুর রহমান ও জুবেল মিয়া জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে অস্তিত্ব সংকটের মুখে তারা। ইতিমধ্যে অনেকেই হারিয়েছেন বাড়ি ঘর। যেভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে তাতে কোন সময় যে কি হয় একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, যখনই পদক্ষেপ নেয়া হয় তখনি বালু খেকোরা এখান থেকে সরে যায়।
পূর্ব পৈলনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, আমি এ ব্যাপারে সোচ্চার আছি। স্থানীয় কয়েকজনও এখানে বায়াষ্ট। আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, এ ব্যাপারে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যেহেতু আমরা অভিযানে গেলে বালু উত্তোলনকারীরা সটকে পড়ে তাই আমরা অন্য পন্থায় এদের প্রতিরোধ করবো।