সিলেট ১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০
 
                                                                          অন্তরা চক্রবর্তীঃঃ
সিনেমায় কাজের সুযোগ করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুনীকে ধর্ষনের অভিযোগে সিলেটের ওসমানীনগরে ধর্ষণ মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদ (৩৮)ওক গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর একটি টিম। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নেরে ইজলশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদ (৩৮) কে গ্রেফতার করতে সজ্ঞম হয়। গ্রেফতারকৃত প্রবাসী ইজলশাহ গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র। গ্রেফতারের পর শনিবার দিবাগত রাতে র্যাব সদস্যরা ধর্ষক সাহেদকে ওসমানীনগর থানাপুলিশের কাছে হস্থান্তর করেন। থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃতকে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরন করেছে। ২০১৭ সালের ঢাকার মগবাজার এলাকার এক সুনিয়া নামের এক তরুনী (২২) বাদি হয়ে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদসহ একই এলাকার আরো দুইজনের নামসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামালা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়,ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে সিনেমা নির্মাতা পরিচয়ে ওই তুরণীকে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্কে স্থাপন করেন প্রবাসী সাহেদ আহমদ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সিনেমার পরিচালকের সাথে দেখার করার কথা বলে ওই তুরুনীকে আসতে বলেন। সুটিং এর কথা বলে ১৯ ডিসেম্বর শাহেদ তরুনীর মগবাজারস্থ বাসা থেকে একটি বিলাশ বহুল হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তার সহযোগীরা আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিলো। হোটেলে সিনেমার পরিচালক আসবেন এমন আশ্বাসে সাহেদ তুরুনীকে অপেক্ষা করেতে বলে এবং বাইরে থেকে কিছু খাবার এবং কোমল পানীয় নিয়ে আসে। কোমল পানীয় পান করার পর তরুনী অজ্ঞান হয়ে পরেন।
জ্ঞান ফিরার পর তরুনী দেখতে পান ওই রুমে সাহেদ বসা। এবং তার শীরীরে কোন বস্ত্র নেই। এমন অবস্থায় সাহেদ তুরুনীর কাছে তাকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন। এবং তার সহযোগীরা সেই ঘটনার বিডিও চিত্র ধারণ করেন। এবং সেটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। সাহেদের সহযোগীরা ধর্ষনৈর ভিডিও ইন্টার নেটে ছেড়ে দেবার হুমকি দিয়ে তরুনীর কাছে থেকে বিভিন্ন সময় ৩ লক্ষ টাকা আদায় করে। অবশেষে এই ঘটনার জন্য ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ওই তরুনী রমনা থানায় মামলা করতে যান কিন্তু সেখানে মামলা দায়ের করতে না পেরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -৩ আদালতে ওই তরুনী একই বছরের আগস্ট মাসে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে লন্ডন প্রবাসী সাহেদ আহমদ পলাতক ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাব-৯ একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে সাহেদকে গ্রেফতার করে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদ মোবারক র্যাবের অভিযানে সাহেদ গ্রেফতার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,গ্রেফতারকৃত সাহেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাজারি ছিল।
| M | T | W | T | F | S | S | 
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | |||||
| 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 
| 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 
| 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 
| 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 | 
 
 