প্রতিনিধি/নবীগঞ্জঃঃনবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুল গফুর মিয়া ও ইসলাম উদ্দিন গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
জানাযায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ডাকাত ডাকাত আওয়াজ শুনে একে অপরকে ফোন দিতে থাকেন। এতে আউশকান্দি এলাকার লোকজন উলুকান্দি গ্রামে লাটি সুটা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এমন কি স্থানীয় চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, মেম্বার সহ বাজার এলাকার লোকজন চুটে যান উলুকান্দি গ্রামে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠান। কিম্তু সরেজমিনে এসে দেখা যায় ডাকাতি নয়, মারামারি। এবং আহতদের দাবী তাদেরকে মারধর করে নগদ টাকা পয়সা, কাপড়, স্বণালংকার সহ প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে ভর্তি ৩ বছরের শিশু রাফিয়া ও তার মা ফাতেমা বেগম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত মঙ্গলবার হঠ্যা করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মতলিব গংরা উটান থেকে ডাকতে তাকে আমার স্বামীর নাম ধরে
(আব্দুল গফুর) ভাই বলে । এ ডাক শুনে দরজা খুলে বাহির হয়ে ওঠানে যাওয়ার পরই
তাদের হাতে থাকা রড, ইষ্টিলের ফাইপ সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি হামলা করে পাশ্ববর্তী ঘরের মন্নান মিয়া (৭০), আব্দুল হক (৭২), মতলিব মিয়া (৫০), নুর মিয়া, শাহাবুদ্দিন, ইসলাম উদ্দিনের পুত্র এমরান মিয়া (১৭), কামরান মিয়া (১৫) সহ আরো অনেকেই মারধর করে অজ্ঞান করে ঘরের দরজা জানাল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের মালামাল ভাংচুর করে নগদ সুকেস থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা, আড়াই ভরি স্বণালংকার যার মূল্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের এসব কান্ডে অতিষ্ট হয়ে ফুল বিবির মেয়ে ও ছেলেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গুরুতর আহতরা নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেন, আব্দুর গফুর মিয়া (৬০), তার স্ত্রী ফুল বিবি (৪০), মেয়ে ফাবিয়া বেগম (১৪), পুত্র আঙ্গুর মিয়া (১৮), সাজু মিয়া (২২), রাজিব মিয়া (১৯), আব্দুর রুপ মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০), পুত্র আক্কাছ মিয়া (৯), ৩ বছরের শিশু সন্তান রাফিয়া বেগম সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ফুল বিবি বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সন্ধায় নবীগঞ্জ থানার এসআই ফিরোজ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ এর সাথে মোনাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মারামারির ঘটনা স্বীকার করেন।