সিলেট ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২০
বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জঃঃ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এবার ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার বিরুদ্ধে ভি,জি.ডি’র চাল ও মহিলাদের মাসিক সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার মোঃ শরিয়ত আলী নামের এক ব্যাক্তি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। চাল ও টাকা আত্মসাতের কারণে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতেজানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা তার নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্র ১৭৫ পরিবারের মহিলাদের মধ্যে গত মার্চ মাসের ভি.জি.ডি’র চাল বিতরন ও মহিলাদের জমাকৃত মাসিক সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চ মাস পেরিয়ে এপ্রিল মাস শেষের দিকে চলে আসলেও হতদরিদ্রদের ভি.জি.ডি’র চাল বিতরণ করা হয়নি। এবং মাসিক সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান মুুসা তার পকেটে রেখে দেন।
এমনকি মহিলাদের ছবি সম্বলিত কার্ড গুলো চেয়ারম্যান নিজের কাছেই জমা রেখেছেন। এরই প্রেক্ষিতে কুর্শি ইউনিয়নের সমরগ্রাও গ্রামের মোঃ শরিয়ত আলী নামে এক ব্যাক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভি.জি.ডি’র চাল ও সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এবং জেলা প্রশাসক হবিগন্জ কে এর অনুলিপি প্রদান করে মোবাইলে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে শরিয়ত আলী জানান।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, চেয়ারম্যান বলেছেন সোমবার চাল বিতরন ও সঞ্চয়ের টাকা জমা করবেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৪ সালের শেষে ও ২০০৫ এর প্রথম দিকে অনুরোপ ভাবে অত্র সময়ে চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা ভি.জি.ডি’র চাউল আত্মসাৎ করার কারনে তখনকার ইউএনও জহুরুল ইসলাম রুহেল তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিলে মুসা আত্মসাৎকৃত চাউল ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
এদিকে শরিয়ত আলী আরো জানান, খাদ্য গুদামের দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বললে গুদাম কর্তা তাকেজা নিয়েছেন যে, গত মার্চ মাসের চাল চেয়ারম্যান মুসা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। এখন কেবল এপ্রিল মাসের বিতরনের চাল খাদ্য গুদামে রয়েছে। এখানে প্রশ্ন জাগে তাহলে মার্চ মাসের ১৭৫ জন মহিলার চাল কোথায় গেল? না কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চাল চোরদের রেহাই নাই? এ কথাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাস্তবে প্রতিফলিত করতে হবে।
করোনা মহামারী আসার পর থেকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঘটছে একের পর এক চাল চুরির হিড়িক। এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ নবীগঞ্জ উপজেলাবাসী।
অপরদিকে, প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তি, উচু পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। এ যেন মগের মুল্লুক পড়েছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই! এতে করে চরম হতাশা ও আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ ঘটনায় আচার্য হলেও সত্য যে, নির্বাহী কর্মকর্তার কথা মতো চেয়ারম্যান আজ এই চাল বিতরন করছেন। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন এদেশটা যেন মগের মল্লুক হয়ে গেছে। ক্ষমতা আছে যার সব কিছু না কি তার। প্রশাসনের উদাসিনতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষন গুলোকে নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ অনেকেই।