সিলেট ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০
জেলা প্রতিনিধিঃঃ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে আসা এক যুবককে মসজিদে নামাজ পড়তে না গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলায় সংঘর্ষ, লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
আজ বুধবার ইনাতগঞ্জের প্রজাতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত চার ব্যক্তিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন অন্য আহতরা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রজাতপুর গ্রামের আলীফর উল্লার ছেলে মাহিদ মিয়া নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। সেখানে একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন তিনি। শুক্রবার মাহিদ নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে ফিরে তিনি অবাধে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। ধর্মমন্ত্রণালয় কর্তৃক রমজান মাসে তারাবির নামাজের নিয়ম বেধে দেওয়া হলেও মাহিদ মসজিদে যান।
এলাকার আরেক যুবক মইনুল ইসলাম গত রোববার মাহিদকে বাইরে ঘোরাঘুরি ও মসজিদে না এসে সরকারি নির্দেশনা মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে অনুরোধ করে। এতে ক্ষেপে যান মাহিদ। মইনুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি কোথায় থাকব না থাকব, তাতে তোর কী?’ একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে মাহিদের পক্ষ নিয়ে তার বন্ধু শাহিন আহমদ বসুর ও নুর আলম মইনুলের ওপর আক্রমণ করতে উদ্যত হন। এ সময় গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, স্বপন মিয়াসহ কয়েকজন লোক এগিয়ে এলে আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায় মইনুল।
এ ঘটনার জের ধরে শাহিন ও নুর আলমের নেতৃত্বে মাহিদসহ তার পক্ষের আরও কয়েকজন মিলে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আজ ভোরে ঘুমন্ত মইনুল, তার চাচাতো ভাই স্বপন মিয়া ও সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হন।
মইনুলের লোকজনসহ গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এলে দলবল নিয়ে পালিয়ে যান শাহিন, নুর আলম ও মাহিদ। তাদের বিরুদ্ধে মইনুলের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে লুটপাট ও ভাংচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে।
হামলায় আহতদের মধ্য তারেক মিয়া (২২), স্বপন আহমেদ (৩০) ইমরান মিয়া (২০) ও সালামিনকে (২৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেলিম মিয়া (৩৫), উজ্জল আহমেদ (৩৩), মইনুল ইসলাম (২৮), প্রবীর মিয়া (২৫), হাফিজুল ইসলামকে (২৯) নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সামছউদ্দিন খাঁন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’