অবশেষে বিশ্বনাথের সেই হিন্দু তরুণ শ্রীঘরে

প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

অবশেষে বিশ্বনাথের সেই হিন্দু তরুণ শ্রীঘরে
১৯১ Views
প্রতিনিধি /বিশ্বনাথ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে মুসলিম কিশোরীকে অপহরণের দায়ে সিলেটের বিশ্বনাথের সেই হিন্দু তরুণ মৃদুল দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রাম গ্রামের নির্মল দাসের ছেলে। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) কিশোরীসহ মৃদুলকে তার বাড়ি থেকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ওইদিনই মৃদুলের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা (নং-১০) দায়ের করেন কিশোরীর মা। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) পুলিশ মৃদুলকে আদালতে হাজির করলে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, মৃদুল দাস সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা সদরের মধ্য বাজারের একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় একই উপজেলার নোয়ারাই গ্রামে মায়ের সাথে বসবাস করে আসা দোয়ারা বাজার উপজেলার নাইনগাঁও গ্রামের ওই কিশোরীর। পরিচয় থেকে প্রণয়ে গড়ায় দু’জনের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাতে মৃদুলের সাথে তার বাড়ি চন্দ্রগ্রামে চলে আসে ওই কিশোরী। শনিবার এ ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমদকে নির্দেশ দিলে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দু’জনের জেদের কাছে ব্যর্থ হয় তার নিষ্পত্তি প্রচেষ্টা। পরে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা চন্দ্রগ্রাম গিয়ে মৃদুল ও ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।মামলার এজাহারে কিশোরীর মা উল্লেখ করেন, মৃদুল যে দোকানের কর্মচারী, আমার ছেলে হৃদয়ও সেই দোকানে কাজ করত। আমার ছেলের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠায় সে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত। এক পর্যায়ে আমার মেয়ের (ওই কিশোরী) দিকে তার কুনজর পড়ে এবং সে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মৃদুল হিন্দু হওয়ার কারণে তার সাথে আমাদের সমাজের মিল হবে না বলে মেয়েকে বুঝাই। কিন্তু মৃদুল আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম নিবেদন করে করে আসছিল। গত শুক্রবার আমার মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে আমি বাবার বাড়িতে গিয়ে সন্ধ্যার দিকে ফিরে এসে জানতে পারি, মোবাইলে ফোন আসায় আমার মেয়ে নতুন জামা পড়ে বিশ্বনাথের দীঘলী গ্রামের দিকে এসেছে। সেখান থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে মৃদুল আমার মেয়েকে অপহরণ করে দীঘলী গ্রামে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বিয়ের করার উদ্দেশ্যে ওই রাতেই তার চন্দ্রগ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই রত্না বেগম জানান, অপহরণ মামলার একমাত্র আসামী মৃদুল দাস। বর্তমানে সে কারাগারে আছে।
Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

December 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031