হোটেলে পাপিয়ার কক্ষে যেতেন কারা, জানতে চেয়ে দুদকের চিঠি

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০

হোটেলে পাপিয়ার কক্ষে যেতেন কারা, জানতে চেয়ে দুদকের চিঠি
Spread the love

৯৮ Views

 

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

ওয়েস্টিন হোটেলে শামিমা নূর পাপিয়ার কক্ষে কারা যেতেন তা জানতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তথ্য চেয়ে হোটেল  কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।

 

সূত্র জানায়, ওয়েস্টিন হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো দুদকের চিঠিতে ওই হোটেলে যেসব গেস্ট, বন্ধুবান্ধব পাপিয়ার কাছে গেছেন তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারা কোনো কক্ষ ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে থাকলে সেগুলোর নম্বরসহ সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যও পাঠাতে বলা হয়েছে।

 

একই সঙ্গে পাপিয়ার ভাড়া করা স্যুট, অন্যান্য কক্ষ, সুইমিংপুল, খাওয়া, মদসহ অন্যান্য বিল-ভাউচারের সত্যায়িত কপি চাওয়া হয়েছে।

 

পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনের দেশে ও বিদেশে অর্থ-সম্পদের খোঁজ শুরু করেছে দুদক। দেশের ভেতরে তাদের অর্থের তথ্য জানতে দেশি-বিদেশি ৫৯টি ব্যাংকের এমডির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

এ ছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় এই দম্পতির বাড়ি ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

 

সূত্র জানায়, পাপিয়া ও তার স্বামীর অবৈধ সম্পদের বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ স্বাক্ষরিত চিঠিগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৯টি ব্যাংকের এমডি ও বিএফআইইউর কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে ওইসব তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করে দুদকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

 

জানা গেছে, পাপিয়া ও তার স্বামীর অর্থ-সম্পদের তথ্য বের করতে দুদক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও অনুসন্ধান চালাবে। এর আগে গত ২ মার্চ ওয়েস্টিন হোটেলে পাপিয়ার গেস্টদের নাম ও যাবতীয় বিল-ভাউচারের কপি চেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

 

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী কারাগারে আছেন।

 

দুদক সূত্র জানায়, দেশি-বিদেশি ৫৯টি ব্যাংকের কাছে পাপিয়া দম্পতির নিজ/যৌথ, তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির নামে খোলা চলতি হিসাব, মেয়াদি আমানত, কেওয়াইসি ফরম ও এসব ক্ষেত্রে আর্থিক বিবরণ চাওয়া হয়েছে। ঋণের বিপরীতে দেওয়া জামানত, ঋণ পরিশোধের তথ্য, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

 

বিএফআইইউর কাছে পাঠানো চিঠিতে থাইল্যান্ডে এই দম্পতির বাড়ি, দুটি ব্যাংক হিসাব, মালয়েশিয়ায় একটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, এই দম্পতির বিরুদ্ধে মাদক ও জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জন করে বিদেশে পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

 

গাড়ির শোরুমের তথ্য চাওয়া হয়েছে: কারওয়ান বাজারের পাশে এফডিসি গেটসংলগ্ন ‘কার এক্সচেঞ্জ’ নামের গাড়ির শোরুমের বিষয়ে তথ্য চেয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি র‌্যানসের কাছে গতকাল চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে ওই শোরুমের ভাড়া সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য, চুক্তিপত্রের মূল কপি, মাসিক বা বছরভিত্তিক ভাড়া পরিশোধের তথ্য ১১ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে এই দম্পতির বিরুদ্ধে অসামাজিক, অনৈতিক কাজে যুক্ত থেকে অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগ মিলেছে। এটি টের পেয়ে বিদেশে পালানোর সময় গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকা, ডলারসহ প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। পাপিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে র‌্যাব।


Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

June 2023
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930