নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাহুবল উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে মিরপুর তিতারকোনা পয়েন্টে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ডিজেল ও পেট্রোলের দোকান অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মিরপুর তিতারকোনা পয়েন্টে চোরাই তেল ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া ও রজব আলীর তেলের দোকানে আগুনের ধোয়া দেখতে পান তারা। মুহূর্তেই মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা দোকান ঘরের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। দোকান ঘরে অরক্ষিত অবস্থায় ডিজেল,পেট্টল ও অকটেন তেল ভর্তি কনটেইনার ও ড্রাম থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও কনটেইনারের টুকরাগুলো কয়েকশ ফুট উপরে উঠে যায়। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রাস্তার দু’পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আন্তে সক্ষম হয় । সকাল ১১ টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অগ্নিকান্ডে অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক লোক জানান, খোলা অবস্থায় রাখা ডিজেল ও পেট্রোল ড্রামের পাশে অসাবধানতাবশত ফেলে দেয়া জ্বলন্ত সিগারেটের শেষাংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন যাবত, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে, লস্করপুরে নাজমুল, বশিনায় কাশেম, মিরপুর তিতারকোনায় ফরিদ ও রজব আলী, পুটিজুরী ও দ্বিগাম্বর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একাধিক ডিজেল ও পেট্রোলের দোকান। , স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে কিভাবে অবৈধ ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এই অসাধু চক্রটি, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ তেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে কাশেম ও ফরিদ প্রতি মাসে বখরা তুলছে।
শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, দোকানটির মালিক তিনজন। তেলের ব্যবসাটি অবৈধভাবে চালিয়ে আসছে তারা দীর্ঘদিন যাবত। তাই কেউই আগুনের সূত্রপাতের সঠিক কারণ আমাদেরকে বলতে পারেনি। মালিক পক্ষ আমাদেরকে সঠিক তথ্য না দেয়ায় আমরা অগ্নিকাণ্ডের কারণ উৎঘাটন না করেই ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।
#