সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
লন্ডন বাংলা ডেস্ক ::
“সংগ্রামের পথ ভিন্ন, অভিন্ন লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালন করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি ক্যান্সার সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়। সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী এবং হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী র্যালির উদ্বোধন করেন। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র্যালিটি পুনরায় কলেজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে রেডিওথেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার বনিউল আহমেদের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী। তিনি তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন, “প্রতিরোধই প্রতিকারের চেয়ে শ্রেয়।” নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য পরিহার, এবং নিয়মিত টিকাদানের মাধ্যমে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “ক্যান্সার নির্ণয় ও নির্ণয়-পরবর্তী চিকিৎসা সেবায় আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
উপস্থিত ছিলেন,এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শাহ ইমরান, নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা তৌফিক, হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, রেডিওথেরাপি বিভাগের রেডিওথেরাপিস্ট ডা. মো. ওমর ফারুক, মেডিকেল অফিসার ডা. রেজওয়ান ফেরদৌস সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক ও সেবিকা বৃন্দ।
আলোচনা বক্তারা বলেন, “ক্যান্সার একটি প্রাণঘাতী রোগ হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সম্ভব।” তারা সবাইকে ক্যান্সার সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।সচেতনতার বার্তাবিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জনগণকে ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণের পরামর্শ দেন। তারা বলেন, “সমাজের প্রতিটি স্থরে ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা গেলে এ রোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমানো সম্ভব।”