সিলেট ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
বিজয় রায়, সুনামগঞ্জঃঃ
ছাতকে সরকারিভাবে রোপা আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে শম্ভুক গতিতে। লক্ষ্য মাত্রার শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ ধান সংগ্রহ হয়েছে বলে জানা গেছে। ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের ধীরগতি নিয়ে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় কৃষকদের বক্তব্য পরস্পর বিরোধি।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, অকৃষকদের তালিকাভুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের দায়িত্বে অবহেলার কারনে সরকারি ধান সংগ্রহে ধীরগতির সৃষ্টি হওয়ার কারণ । পক্ষান্তরে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিম্ম আদ্রতাকে দায়ি করছেন।
জানা গেছে, সরকারিভাবে রোপা আমন ধান সংগ্রহে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের কৃষকদের লটারীর মাধ্যমে ১ হাজার ৩৪৩ জন কৃষককে তালিকাভুক্তি করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ১ম দফা লটারী অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এবং পৌরসভাসহ আরো ৮টি ইউনিয়নের কৃষকদের নিয়ে লটারীর মাধ্যমে ২য় দফা তালিকাভুক্তি হয় চলতি বছরের ২ জানুয়ারী। এর আগেই প্রতি কৃষক ১ মেট্রিক টন হারে ১ হাজার ৩৪৩ মেট্র্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ধান সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর।
লটারীর মাধ্যমে ছাতক পৌরসভায় ২৪ জন, ইসলামপুর ইউনিয়নে ১১৪জন নোয়ারাই ইউনিয়নে ১১২ জন, ছাতক সদর ইউনিয়নে ৯০ জন, কালারুকা ইউনিয়নে ১০৮ জন, ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নে ৯৯ জন, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে ৯৭ জন, খুরমা উত্তর ইউনিয়নে ১০০জন, খুরমা দক্ষিন ইউনিয়নে ১০২ জন, চরমহল্লা ইউনিয়নে ৯৩ জন, জাউয়া ইউনিয়নে৯৮ জন,সিংচাপইড় ইউনিয়নে ১০৪ জন, দোলারবাজার ইউনিয়নে ১০৩ জন ও ভাতগাঁও ইউনিয়নে ৯৯ জন কৃষককে তালিকাভুক্তি করা হয়।
ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও নিধারিত লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ১৫ ভাগ ধান এ পর্যন্ত সরকারি গোদামে সংগ্রহিত হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে এ গতিতে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চললে নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য মাত্রার শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। বুধবার পর্যন্ত ২০৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে বলে জানা গেছে।ধান সংগ্রহের ধীরগতির বিষয়টি স্থানীয় কৃষকরা বাঁকা চোখে দেখছেন। তাদের মতে রোপা আমন সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারনে প্রকৃত কৃষকরা তালিকাভুক্তি হতে পারেনি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে ধান নিয়ে আসা কৃষকদের হয়রানি করছেন।
এব্যপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহাব উদ্দিন জানান, নিম্ম তাপমাত্রার কারনে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। ধানে ভিজেভাব থাকার কারনে কৃষকদের নিয়ে আসা ধান গোদামজাত করা যাচ্ছেনা। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কৃষকরাও ধান নিয়ে আসছে না। যে কারনে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ধীর গতিতে চলছে। তবে তাপমাত্রা বাড়লে ফেব্রয়ারী মাসেই লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এলবিএন/ ২৮-জা/র/বি-সু