৫৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যায়ে হবে কুশিয়ারা নদীর তীরের প্রতিরক্ষা

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০

৫৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যায়ে হবে কুশিয়ারা নদীর তীরের প্রতিরক্ষা

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রকল্পসহ মোট ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে স্থান পেয়েছে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের প্রতিরক্ষা প্রকল্পেরও। আর সেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

 

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ১০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা খরচ করা হবে।

 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন।

 

পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন জানান, গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবাপ্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে সম্ভাবতা যাচাইয়ের জন্য সেটি আবার ফেরত দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন টেলিটকের দায়িত্ব বাড়াতে হবে। প্রকল্পটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করে তারপর একনেকে উপস্থাপন করতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সচিব আরো জানান, নদী ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে ভালোভাবে কাজ করতে হবে।

 

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনী ডায়ালাইসিস স্টোর স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। বানেশ্বর- সারদা-চারঘাট-বাঘা-লালপুর-ঈশ্বরদী জেলা মহাসড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কমানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি টাকা।

 

হবিগঞ্জ জেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের সামনে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের প্রতিরক্ষা প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তেজগাঁওএ বিসিকের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

 

বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বিসিকের ৮টি শিল্পনগরি মেরামত ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

Spread the love